যাত্রা শুরু করেছে দেশের প্রথম সার্টিফায়েড টিয়ার ফোর কমার্শিয়াল কো-লোকেশন ডেটা সেন্টার ‘সাইফার’। রবি আজিয়াটা লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান অ্যাকজেনটেক আনুষ্ঠানিকভাবে সাইফার এ যাত্রা শুরুর ঘোষণা দিয়েছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই ডাটা সেন্টারটি যশোরে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে অবস্থিত। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে সাইফার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত দেশের প্রথম ডিজিটাল জেলা যশোরে উদ্বোধন হলো দেশের প্রথম সার্টিফায়েড টিয়ার ফোর কমার্শিয়াল কো লোকেশন ডেটা সেন্টার সাইফার। অ্যাকজেনটেক ও রবির এমন উদ্যোগ প্রশংসার দাবি রাখে। আমরা গর্বের সাথে বহির্বিশ্বকে বলতে পারি যে, আমাদের দেশেও বিশ্বমানের ডেটা সেন্টার রয়েছে। এই পথ অন্যরাও অনুসরণ করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে আরও সমৃদ্ধশালী করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
অ্যাকজেনটেক পিএলসির এই সাইফার দেশের প্রযুক্তিগত উন্নয়নের পাশাপাশি উদ্ভাবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। দেশের প্রিমিয়ার ডেটা সেন্টার হিসেবে সর্বোচ্চ নির্ভরযোগ্যতা, নিরাপত্তা ও কার্যকর আস্থার নিশ্চয়তা দেয় সাইফার, ডিজিটাল ক্ষেত্রে যা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
যশোরে ১৬ হাজার ৫০০ বর্গফুটের সাইফারের ভবনটিতে আছে পাওয়ার ব্যাকআপ, এডভান্সড কুলিং মেশিনারিসহ অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও সাইফার কাজ করে যাওয়ার সক্ষমতা রাখে। ডিজিটাল অবকাঠামোর মান নিরূপণে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত সংস্থা আপটাইম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে সম্মানজনক টিয়ার ফোর সনদ অর্জন করেছে সাইফার।
নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎসহ অন্যান্য প্রযুক্তি নিশ্চিত করা হয়েছে সাইফার এ। এছাড়া ৯৯.৯৯৫ শতাংশ আপটাইম বিশিষ্ট সাইফার এ আছে বায়োমেট্রিক একসেস কন্ট্রোলের মতো মিলিটারি গ্রেড সিকিউরিটি। সাইবার হুমকিসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে নেওয়া হয়েছে যথাযথ ব্যবস্থা।
নিরাপদ, নির্ভার ব্যবসা নিশ্চিত করার শঙ্কাহীন কো লোকেশন প্ল্যাটফরম হিসেবে সাইফার নিজের সেরাটা দিতে বদ্ধপরিকর। ডিজিটাল যুগে নির্ভরযোগ্য ও ভরসার প্রতীক হয়ে নিরবচ্ছিন্ন কাজ করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় সাইফার।
অ্যাজেনটেক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আদিল হোসেন নোবেল বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে সাইফার একটি মাইলফলক। বড় পরিসরে ডেটা সেন্টারের অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে দেশের কারিগরি উৎকর্ষের জন্য স্মার্ট ডেটা ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে সাইফার। ডেটা সেন্টার স্থাপনে আমাদের সহযোগিতা করার জন্য মন্ত্রী, আইসিটি বিভাগ, বিএইচটিপিএ এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট সব বিভাগকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
রবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও রাজীব শেঠি বলেন, সাইফারের যাত্রা শুরু হওয়াটা বাংলাদেশের স্মার্ট উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাওয়ার একটি দারুণ পদক্ষেপ। রবি বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত উন্নয়নের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। সাইফারের যাত্রা রবির সেই প্রতিশ্রুতিকেই তুলে ধরে। রবির সহযোগিতায় অ্যাকজেনটেক পিএলসি দেশকে ডিজিটাল সম্ভাবনার দিকে নিতে প্রযুক্তিগত সমাধান উদ্ভাবনের জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি এস এম জাফরউল্লাহ্ এনডিসি। রবির চিফ করপোরেট ও রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন যশোর পৌরসভার মেয়র হায়দার গণি খান পলাশ।
মন্তব্য করুন