ওয়ার্ল্ড ল্যাবরেটরি ডে উপলক্ষে সকল ল্যাব পেশাজীবীকে আন্তরিক শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা জানিয়েছে প্রাভা হেলথ।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ শুভেচ্ছা জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
এতে বলা হয়, ‘প্রতিবছর ২৩ এপ্রিল বিশ্বজুড়ে পালিত হয় ওয়ার্ল্ড ল্যাবরেটরি ডে। এ দিনে সম্মান জানানো হয় বিশ্বের লাখ লাখ ল্যাবরেটরি পেশাজীবীকে যারা নিরবচ্ছিন্নভাবে রোগ নির্ণয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন। চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে ল্যাবরেটরি হচ্ছে এমন এক অপরিহার্য ক্ষেত্র, যা রোগ শনাক্তকরণ, চিকিৎসা নির্ধারণ ও প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার কেন্দ্রবিন্দু।’
‘রোগ নির্ণয় থেকে চিকিৎসা পরিকল্পনা, সবকিছুর পেছনে থাকে ল্যাবের অবিচ্ছেদ্য ভূমিকা। প্রতিটি রিপোর্ট, প্রতিটি নমুনা আমাদের সুস্থ জীবনের দিকে আরেক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যায়। আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমাদের ল্যাব স্পেশালিস্ট, প্যাথলজিস্ট, বায়োকেমিস্ট, মাইক্রোবায়োলজিস্ট, সহায়ক কর্মীসহ সকলের প্রতি, যারা প্রতিদিন নির্ভুলতা, গোপনীয়তা ও পেশাদারিত্ব বজায় রেখে মানুষের সুস্থতার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।’
এতে আরও বলা হয়, ‘প্রাভা হেলথ উচ্চমানের ল্যাব সেবার মাধ্যমে চিকিৎসা খাতকে প্রতিনিয়ত উন্নত এবং সমৃদ্ধ করে যাচ্ছে। আমাদের রয়েছে সাতটি অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি, যার মধ্যে বাংলাদেশের প্রথম মলিকুলার ক্যানসার ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরিও অন্তর্ভুক্ত। প্রতিটি ল্যাবরেটরি আন্তর্জাতিক মানের, ISO 15189:2012 ও বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (BAB)-এর স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। এছাড়াও, সঠিকতা ও মান নিয়ন্ত্রণে RIQAS (Randox International Quality Assessment Scheme) এ অংশগ্রহণ করে আমরা নিয়মিত ভাবে ৯৯.৯% মাসিক নির্ভুলতার স্কোর অর্জন করি যা আমাদের ল্যাব দক্ষতার এক নিখুঁত প্রতিচ্ছবি। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, দেশের চাহিদার তুলনায় মানসম্পন্ন অ্যাক্রেডিটেড ল্যাব এখনো খুবই কম। দক্ষ ল্যাব স্পেশালিষ্টের অভাব, সীমিত অবকাঠামোর মত চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠতে হলে দরকার প্রযুক্তি, প্রশিক্ষণ আর বিনিয়োগ।’
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওয়ার্ল্ড ল্যাবরেটরি ডে উপলক্ষে, প্রাভা হেলথের পক্ষ থেকে আমরা সকল ল্যাব পেশাজীবীকে জানাই আন্তরিক শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা। সততা, দক্ষতা ও বিজ্ঞাননির্ভর পরীক্ষার মাধ্যমে এই গোষ্ঠী গড়ে তুলছে একটি স্বাস্থ্যবান আগামীর বাংলাদেশ।
উল্লেখ্য, প্রাভা হেলথ একটি ওয়ান-স্টপ স্বাস্থ্যসেবা সিস্টেম এবং বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র ইন্টিগ্রেটেড আন্তর্জাতিক মানের বহির্বিভাগীয় ক্লিনিক, যা দেশের ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্তের জন্য নির্ভুল, সহানুভূতিশীল ও বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করছে। প্রাভা হেলথ প্রতিরোধমূলক, উন্নয়নমূলক ও চিকিৎসামূলক রোগীকেন্দ্রিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে, যেখানে পারিবারিক চিকিৎসকের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক, কঠোর কর্মী প্রশিক্ষণ, বিশ্বমানের রোগ নির্ণয় সুবিধা এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার রোগীদের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য ও উন্নতমানের স্বাস্থ্যসেবা অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে। প্রাভা বাংলাদেশের প্রথম রোগী অ্যাপ এবং প্রথম মলিকুলার ক্যান্সার ডায়াগনস্টিক পিসিআর ল্যাব চালু করেছে এবং এটি দেশের ১১টি আন্তর্জাতিক মানের ল্যাবের মধ্যে একটি, যা বাংলাদেশের অধিকাংশ জেলার রোগীদের জন্য ল্যাব সেবা প্রদান করে।
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ সংস্থা ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম প্রাভা হেলথকে ২০২৩ সালে ‘গ্লোবাল ইনোভেটর’ এবং ২০২১ সালে ‘টেকনোলজি পাইওনিয়ার’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। বিশ্ববিখ্যাত ফাস্ট কোম্পানি ২০২০ সালে ‘ওয়ার্ল্ড চেঞ্জিং আইডিয়া’ হিসেবে প্রাভাকে স্বীকৃতি দেয়। এছাড়া, প্রাভা হেলথের সাফল্য হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল ও কলাম্বিয়া বিজনেস স্কুল দ্বারা প্রাভা হেলথকে নিয়ে কেস স্টাডি প্রকাশিত হয়েছে এবং গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ২০২৩ সালে, EY ও Hogan Lovells প্রাভা হেলথকে ‘১০০টি অর্থবহ ব্যবসায়িক উদ্যোগের একটি হিসেবে ঘোষণা করেছে, যা লাভজনক ব্যবসার পাশাপাশি জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (UN Global Goals) অর্জনে অবদান রাখছে।
সম্প্রতি, ২০২৪ সালে, প্রাভা হেলথ ‘গ্লোবাল হেলথ ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেছে, যা TEAM Fund কর্তৃক প্রদান করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন