ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ) ক্যাম্পাসে দুই দিনব্যাপী ‘হার্ভার্ড HSIL হ্যাকাথন ২০২৫’-এর বাংলাদেশ রাউন্ডের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় ইউআইইউর ইনস্টিটিউট অফ রিসার্চ, ইনোভেশন, ইনকিউবেশন অ্যান্ড কমার্শিয়ালাইজেশন (আইরিক) এবং হার্ভার্ড টিএইচ চ্যান স্কুল অব পাবলিক হেলথের হেলথ সিস্টেমস ইনোভেশন ল্যাব (HSIL)-এর যৌথ সহযোগিতায় এ অনুষ্ঠান করা হয়।
ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পরিচালক (জনসংযোগ) আবু সাদাত স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার (১৩ এপ্রিল) এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান, স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. মো. আবু জাফর, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম আমিরুল ইসলাম, এনডিসি এবং বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ডিইআইইডি প্রকল্প পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউআইইউর ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আবুল কাশেম মিয়া।
হার্ভার্ড টিএইচ চ্যান স্কুল অফ পাবলিক হেলথের হেলথ সিস্টেমস ইনোভেশন ল্যাব (HSIL), হ্যাকাথনটি এ বছর তার ষষ্ঠ সংস্করণটি পরিচালনা করেছে যার মূল প্রতিপাদ্য ছিল- ‘উচ্চ-মূল্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার’ যেখানে ২০টি দেশের ৩০০০ জনেরও বেশি অংশগ্রহণকারী ছিল, যার মধ্যে প্রধান অন্য কেন্দ্রগুলো হলো- হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র), সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় (অস্ট্রেলিয়া), কিংস কলেজ লন্ডন (যুক্তরাজ্য), কোচ বিশ্ববিদ্যালয় (তুরস্ক), সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় (চীন) এবং এনটিইউ (সিঙ্গাপুর) ও আরও অনেকে।
ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট ফর রিসার্চ, ইনোভেশন, ইনকিউবেশন এবং কমার্শিয়ালাইজেশন (আইরিক)- এই মর্যাদাপূর্ণ বৈশ্বিক প্রোগ্রামের জন্য বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাত্র আঞ্চলিক কেন্দ্র যেটি নিজ যোগ্যতায় বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি অভিজাত নেটওয়ার্কে যোগদান করেছে এবং সফলভাবে বাংলাদেশ রাউন্ড ফাইনাল আয়োজন করেছে।
বাংলাদেশ রাউন্ডের বিজয়ী ২টি দল হলো- মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা শনাক্তকরণ ও সমাধানে ব্রেন-কম্পিউটার ইন্টারফেস প্রযুক্তি ব্যবহার করার স্মার্ট পদক্ষেপের জন্য টিম ‘নিউরিক্স’ এবং নারী রোগীদের মধ্যে এন্ডোমেট্রিওসিস-জনিত উদ্বেগ এবং জটিলতা এড়াতে বাস্তবসম্মত সমাধানের জন্য টিম ‘স্মার্ট-এন্ডো’। উভয় বিজয়ী দলই সম্মানসূচক পুরস্কার হিসেবে নগদ অর্থ, সার্টিফিকেশন এবং হার্ভার্ড এইচএসআইএল ভেঞ্চার ইনকিউবেশন প্রোগ্রামে আরও ১৯টি দেশের বিজয়ীদের সঙ্গে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন যেখানে এই চার সপ্তাহের উদ্যোগটি তাদের আইডিয়াটির পরামর্শ, তহবিল কৌশল এবং বাজারজাতকরণ বিষয়ে সহায়তা প্রদান করবে। বাংলাদেশ রাউন্ডের জুরি প্যানেলে ছিলেন ডা. রুই লিউ,0 স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ (এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক), ফাহিমা চৌধুরী, পরিচালক (অ্যাডকম), ডা. আরিফ মাহমুদ, গ্রুপ মেডিকেল ডিরেক্টর (এভারকেয়ার হাসপাতাল), ডা. শাহ আলী আকবর আশরাফী, পরিচালক (এমআইএস), ডা. মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা, উন্নয়ন সহযোগিতা বিভাগ, সুইডেন দূতাবাস এবং অধ্যাপক ড. খন্দকার এ. মামুন, পরিচালক (আইরিক), ইউআইইউ।
অনুষ্ঠানের অতিথিরা এইচএসআইএল হ্যাকাথনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। বিগত কয়েক বছর ধরে এইচএসআইএল হ্যাকাথন বিশ্বব্যাপী রূপান্তরমূলক স্বাস্থ্যসেবা সমাধান গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। পূর্ববর্তী সংস্করণগুলো আফ্রিকায় ডিজিটাল স্বাস্থ্য এবং এশিয়া ও ল্যাটিন আমেরিকায় ডায়াবেটিস যত্নের মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছে, যার ফলে প্রভাবশালী স্টার্টআপগুলোর উদ্ভাবন ঘটেছে, যা পরিবর্তনকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
এই প্রোগ্রামের প্রথম এবং একমাত্র আঞ্চলিক কেন্দ্র হওয়ার এই মাইলফলক আইরিক এবং ইউআইইউর উদ্ভাবন চালনা এবং সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে। হার্ভার্ড এইচএসআইএলের সঙ্গে এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে, আইরিক বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার রূপান্তরের দিকে তার যাত্রা অব্যাহত রেখেছে।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা, সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য ও আইসিটি বিশেষজ্ঞ, শিক্ষার্থী এবং আমন্ত্রিত বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। হার্ভার্ড এইচএসআইএল হ্যাকাথন ২০২৫ বাংলাদেশ রাউন্ডের আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে, https://iriic.uiu.ac.bd/harvard-hsil-hackthon-2025/ ওয়েবসাইটে।
আর্কাইভ 
| ১৫ এপ্রিল ২০২৫ 
