আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ন্যাশনাল ডাটা এনালাইটিকস্ প্রতিযোগিতা -২০২৫ এ চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে যথাক্রমে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির টিম ডাইনামিক ডিকোডার এবং টিম ডাটা সরুণ।
শনিবার (১২ এপ্রিল) ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটিতে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আয়োজনে প্রতিযোগিতায় ১০টি পাবলিক ও ১২টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩৫টি দল প্রতিযোগিতা করে।
এতে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দল ডাইনামিক ডিকোডার চ্যাম্পিয়ন এবং একই বিভাগের ডাটা সরুণ দল রানারআপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে। চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্যরা হলেন- মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান ও মো. জুলকার নাইন এবং রানারআপ দলের সদস্যরা হলেন- রাহাত জামান সরকার ও আবদুল্লাহ আর জাবির।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন, জেনোফেক্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সৈয়দ আকতার হোসেন, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. শেখ রাশেদ হায়দার নূরী, প্রফেসর ড. এসএম আমিনুল হক, সহকারী বিভাগীয় প্রধান ও প্রতিযোগিতার প্রধান বিচারক ড. জাহিদ হাসান। এ আয়োজনের হোস্ট এনএলপি এন্ড এম এল, পৃষ্ঠপোষক সহজ.কম এবং পার্টনার ছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের প্রতিযোগিতা আমাদের তরুণদের সামনে নিজেদের দক্ষতা প্রমাণ করার এক বিশাল সুযোগ এনে দিয়েছে। আমাদের দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রযুক্তির উত্থানের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। আর এই প্রতিযোগিতা হচ্ছে প্রযুক্তির বিপ্লব। এই প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে যেসব তরুণ উঠে আসবে তাদের হাত ধরেই বাংলাদেশ বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। এ সময় অধ্যাপক আব্দুল মান্নান ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিকে ধন্যবাদ দেন এ রকম একটি বড় প্রতিযোগিতা আয়োজন করার জন্য।
বাংলাদেশের তরুণদের মেধাবী প্রজন্ম উল্লেখ করে মো. ফাহিমুল ইসলাম আরও বলেন, আমাদের তরুণ প্রজন্ম অত্যন্ত মেধাবী। এই প্রতিযোগিতা তরুণদের মেধাকে আরও শাণিত করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম লুৎফর রহমান বলেন, বর্তমান সময় হচ্ছে প্রযুক্তির সময়। এই সময়ে প্রযুক্তির জ্ঞান থেকে দূরে থাকলে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়তে হবে। আমরা চাই না আমাদের শিক্ষার্থীরা কোনো প্রতিযাগিতায় পিছিয়ে পড়ুক। এজন্য ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে। বাংলাদেশের তরুণ শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তির জ্ঞানে দক্ষ করে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।
তিনি আরও বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞান সমকালীন শিক্ষার অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে সর্বজন স্বীকৃত। এ বিষয়টিকে মাথায় রেখে শুরু থেকেই ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে আসছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কর্মকাণ্ডে তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োগ ও ব্যবহার নিশ্চিত করেছে। যাতে করে শিক্ষার্থীরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চাকরি বাজারের প্রতিযোগিতায় অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পেছনে ফেলে নিজেদের অবস্থানকে সুসংহত করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি একটি ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি হিসেবে নিয়মিতভাবে এ ধরনের প্রতিযোগিতা আয়োজন করে আসছে এবং ভবিষ্যতে আরও বড় আয়োজনের পরিকল্পনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ঊর্ধ্বতন সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হাবিব কাজল স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়।
মন্তব্য করুন