কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) আধুনিক বিশ্বের অন্যতম আলোচিত বিষয়। এটি যেমন প্রযুক্তির নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে, তেমনি নৈতিকতা, কর্মসংস্থান ও গবেষণার ক্ষেত্রে নতুন চ্যালেঞ্জও তৈরি করছে। এসব দিক নিয়ে আলোচনা ও বিশ্লেষণের জন্য স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগ বিশেষ সেমিনার ‘Shaping the Future with Artificial Intelligence (AI) : Scope and Challenges’ আয়োজন করেছিল।
সেমিনারে ১০০-এর বেশি অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন, যার মধ্যে ছিলেন শিক্ষার্থী, গবেষক, প্রযুক্তিবিদ ও একাডেমিশিয়ানরা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ডা. নওজিয়া ইয়াসমিন, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নেন প্রফেসর ড. মো. হাসান কাওসার (ট্রেজারার), ড. আহমেদ হুসাইন (রেজিস্ট্রার) এবং মোহাম্মদ মাসুদ তারেক (সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, সিএসই বিভাগ)।
সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. আশিক রহমান, একজন এআই স্ট্র্যাটেজিস্ট, যিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উদ্ভাবনী কার্যক্রমের নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং এআই প্ল্যাটফর্ম, অবকাঠামো, স্ট্যান্ডার্ডস ও গভর্ন্যান্স বিষয়ে অসাধারণ ভূমিকা রেখেছেন। তার বিশ্লেষণাত্মক বক্তব্য উপস্থিত শিক্ষার্থী ও গবেষকদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে।
সেমিনারটি সভাপতিত্ব করেন ড. শারমিন পারভীন (অধ্যাপক, সিএসই বিভাগ, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ)। আলোচনায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিভিন্ন খাতে প্রয়োগের নৈতিক চ্যালেঞ্জ, কর্মসংস্থানের ভবিষ্যৎ এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণা ও শিক্ষার নতুন দিকনির্দেশনা উঠে আসে।
আলোচনার একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা সরাসরি প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন, যেখানে সিএসইর চাকরির বাজার গবেষণা সুযোগ এবং সমাজের ইতিবাচক ও নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়।
সেমিনারের মাধ্যমে স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ তাদের এআই গবেষণা ও শিক্ষা বিকাশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আগামী দিনে আরও এআই-ভিত্তিক কর্মশালা, গবেষণা উদ্যোগ ও ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সহযোগিতা চালুর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, যাতে শিক্ষার্থীরা বাস্তবমুখী জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করতে পারে।
এ সেমিনার শুধু একটি অনুষ্ঠান ছিল না, এটি ছিল এক নতুন ভবিষ্যতের দ্বার উন্মোচন। যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানবসভ্যতার এক অনন্য সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিচ্ছে।
মন্তব্য করুন