উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে ‘বিচার বিভাগে ক্যারিয়ারের সম্ভাবনা: সাফল্যের গল্প’ শীর্ষক এক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের মাল্টিপারপাস হলরুমে আইন বিভাগ ও অফিস অব এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্সের যৌথ উদ্যোগে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে ব্যাচ-২৯-এর প্রাক্তন শিক্ষার্থী মো. আল-আমিনকে সম্মাননা জানানো হয়। যিনি সম্প্রতি বিচার বিভাগীয় কমিশনের ১৭তম বিচার বিভাগীয় পাবলিক পরীক্ষায় সহকারী বিচারক পদে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- উত্তরা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. ইয়াসমীন আরা লেখা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আজিজ আহমেদ ভূঁইয়া। এছাড়া, বিশিষ্ট প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও সুপারিশপ্রাপ্ত সহকারী বিচারক মো. আল-আমিন সফল ব্যক্তি হিসেবে বিশেষ বক্তব্য প্রদান করেন। পাশাপাশি বিচার বিভাগে সফলতার পথে তার অভিজ্ঞতা ও অনুপ্রেরণাদায়ক বক্তব্য রাখেন।
আইন বিভাগের প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানে বক্তারা আইন শিক্ষার গুরুত্ব, অধ্যবসায় ও নৈতিকতার প্রতি আলোকপাত করেন।
আইন শিক্ষার উৎকর্ষতা ও ভবিষ্যৎ আইনজীবী গড়ার ভূমিকা তুলে ধরে উপাচার্য প্রফেসর ড. ইয়াসমীন আরা লেখা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘একাডেমিক পড়ালেখার সঙ্গে আরও অনেক বই পড়তে হবে। জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে নিজেকে কখনো থামিয়ে দিও না। ভালো আইনজীবী তথা প্রকৃত মানুষ গড়ার ক্ষেত্রে এ বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর।’
অন্য দিকে, বিচার বিভাগে ক্যারিয়ার গড়ার দিকনির্দেশনা প্রদান করে ড. আজিজ আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, ‘তোমাদের সফলতার জন্য যত ধরনের পরামর্শ দরকার তা আমি দেবো। সফলতার জন্য লেগে থাকতে হবে আর প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে। আমার খুব আনন্দ হয় যখন দেখি আমার ছাত্র ভালো পড়ালেখা করে আমারই সহকর্মী হয়েছে।’
মো. আল-আমিনের অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে গভীর প্রভাব সৃষ্টি করে এবং বিচার বিভাগে ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের আত্মপ্রত্যয়ী হতে উদ্বুদ্ধ করে। আল-আমিন বলেন, ‘আমার পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যেতো যদি না উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে ১০০% স্কলারশিপ না দিত। আমি ফুল স্কলারশিপ নিয়ে ভালো রেজাল্ট অর্জন করেছি এবং একাধিকবার চেষ্টার ফলে আজ সহকারী বিচারক পদে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছি। জীবনে কখন হতাশ হওয়া যাবে না, সৃষ্টিকর্তার কাছে চাইলে আর প্রচুর চেষ্টা করলে অবশ্যই অবশ্যই সফলতা আসবে।’
অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষার্থীরা অতিথিদের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় ও ভবিষ্যতে তারা নিজে কোন অবস্থায় দেখতে চান তা ব্যক্ত করেন।
মন্তব্য করুন