স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে (এসইউবি) ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ফল-২০২৪ ও স্পিং-২০২৫ সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ ‘মিট অ্যান্ড গ্রিট-২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এসইউবি উপাচার্য প্রফেসর (মনোনীত) অধ্যাপক ড. মো. আক্তার হোসেন খান। প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট কবি, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক এবং দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক আবদুল হাই শিকদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য ডা. সুচরিতা আহমেদ।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নওজিয়া ইয়াসমিন এবং রেজিস্ট্রার ড. আহমেদ হোসাইন। অনুষ্ঠানে নবাগত শিক্ষার্থীদের এসইউবির মিশন, ভিশন, একাডেমিক নীতিমালা, ক্যারিয়ার সার্ভিস, গ্রন্থাগার, আইটি, ক্লাব কার্যক্রম, পরিবহন ব্যবস্থা ও অন্য সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন প্রক্টর সহকারী অধ্যাপক শাহ রেজা এম ফাহাদ হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কবি আবদুল হাই বলেন, ‘সফলতা সহজে ধরা দেয় না তার পেছনে দৌড়াতে হয়। অনেক কষ্টে তাকে আয়ত্তে আনতে হয়। সাফল্যের পেছনে ছুটতে ছুটতে এক সময় ক্লান্ত হয়ে যাবে কিন্তু হার মানা যাবে না। দেখবে একটা সময় সাফল্য নিজে এসে তোমার দরজায় কড়া নাড়বে। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখো তা হলে তোমরা যা কিছু করতে চাও তাই করতে পারবে। উদাহরণস্বরূপ শিক্ষার্থীদের নোবেল বিজয়ী প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সফলতার গল্প তুলে ধরেন তিনি।’
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য ড. আক্তার হোসেন খান বলেন, ‘দেশের উন্নয়নে শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। সঠিক শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে জাতীয় দায়িত্ব পালন করা আমাদের কর্তব্য। শিক্ষার্থীদের আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হলে শিক্ষকদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে, পাশাপাশি শিক্ষার্থীদেরও সময়ের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।’
নবীন শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে নাচ, গানসহ মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিল জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘বায়োস্কোপ’-এর সংগীত পরিবেশনা। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. হাসান কাউসার।
নবীন শিক্ষার্থীদের প্রাণবন্ত অংশগ্রহণে দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানটি আনন্দমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক, কো-অর্ডিনেটর, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
মন্তব্য করুন