ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি (এনআইবিপিএস) একটি ফ্রোজেন সেকশন মেশিন প্রদান করেছে শেভরন। এই মেশিনটি ক্যানসার নির্ণয় ও শনাক্তকরণের কাজে ব্যবহৃত হয়।
সম্প্রতি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারিতে (এনআইবিপিএস) আনুষ্ঠানিকভাবে এ মেশিনটি হস্তান্তর করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেভরন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর এরিক এম ওয়াকার। উপস্থিত ছিলেন ডা. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত পরিচালক, এনআইবিপিএস; মোহাম্মদ ইমরুল কবির, করপোরেট অ্যাফেয়ার্সের ডিরেক্টর; মোহাম্মদ লোকমান হোসেন, হেলথ অ্যান্ড মেডিকেলের ডিরেক্টর; আরিফ আখতার, কমিউনিটি এনগেজমেন্ট অ্যান্ড সাসটেইনিবিলিটির প্রধান; শেখ জাহিদুর রহমান, মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন ম্যানেজার; তাহসিন খান, কমিউনিটি এনগেজমেন্ট অ্যান্ড সাসটেইনিবিলিটি অ্যাডভাইজার এবং জাহাঙ্গির কবির খানসহ আরও অনেকে।
এ সময় অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন বলেন, ‘এটি বাংলাদেশের অন্যতম স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। এ ধরনের মেশিন স্থাপন চিকিৎসাসেবায় নতুন মাত্রা যোগ করবে। পূর্বে, এই মেশিনের অভাবে আমাদের রোগীদের বাইরে বায়োপসি পরীক্ষার জন্য পাঠাতে হতো, যা সময় নষ্ট করত। আমরা শেভরন বাংলাদেশকে এই মূল্যবান মেশিনের জন্য ধন্যবাদ জানাই, যা অনেক মানুষের উপকারে আসবে।’
করপোরেট অ্যাফেয়ার্সের ডিরেক্টর মোহাম্মদ ইমরুল কবির উল্লেখ করেন, ‘শেভরন বাংলাদেশ প্রায় তিন দশক ধরে এই দেশে কাজ করছে। আমরা দেশে তিনটি গ্যাসফিল্ড পরিচালনা করি। গ্যাস সরবরাহের পাশাপাশি, আমরা দেশের প্রতি আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে কিছু সামাজিক বিনিয়োগ কার্যক্রমও পরিচালনা করি। আমরা আমাদের কার্যক্রমের এলাকায় বিভিন্নভাবে মানুষদের সাহায্য করি। আমরা চারটি মূল ক্ষেত্রে কাজ করি : স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং পরিবেশ। এই উদ্যোগটি আমাদের স্বাস্থ্যসেবা সহায়তার অংশ। আমরা জানতে পেরেছি যে, এই হাসপাতালের ৮০% সেবা সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের জন্য। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির যাত্রায় অংশ নিতে পেরে আমরা আনন্দিত।’
শেভরনের প্রেসিডেন্ট ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর এরিক এম ওয়াকার আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, ‘শেভরন বাংলাদেশ এই উদ্যোগের অংশ হতে পেরে গর্বিত। আমরা আশা করি এটি ভবিষ্যতে রোগীদের জন্য উপকারী হবে এবং এই অংশীদারিত্ব ভবিষ্যতেও উপকারী হবে।’
এনআইবিপিএস ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি শেভরন বাংলাদেশকে এই মহান সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানাই। এই মেশিন ছাড়া সার্জনদের কাজ সম্পূর্ণভাবে সম্পন্ন করা প্রায় অসম্ভব। সম্প্রতি, ওরাল ক্যান্সারের সংখ্যা বাড়ছে। এই মেশিনের অভাবে আমরা সময়মতো রোগটি নির্ণয় করতে পারছি না। আমি বিশ্বাস করি এই মেশিনটি আমাদের ক্যান্সার নির্ণয়ের ক্ষেত্রে দ্রুত সময়ে সহায়তা করবে।’
অনুষ্ঠানে এনআইবিপিএসের ডাক্তার, নার্স, ছাত্র এবং কর্মচারী, মিডিয়া এবং শেভরন বাংলাদেশের কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
শেভরন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় সমন্বিত জ্বালানি কোম্পানি, যা জ্বালানি শিল্পের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে জড়িত। ব্লক টুয়েলভ, লিমিটেড এবং শেভরন বাংলাদেশ ব্লকস থার্টিন অ্যান্ড ফোরটিন, লিমিটেড (‘শেভরন বাংলাদেশ’) বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদক, যা দেশের মোট প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদনের প্রায় ৬০% এবং দেশের কনডেনসেট উৎপাদনের ৮৩%-এর বেশি উৎপাদন করে তারা। এটি দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে তিনটি গ্যাসফিল্ড পরিচালনা করে। প্রতিষ্ঠানটি তার কার্যক্রমের এলাকায় সম্প্রদায়ের সাথে কাজ করে, দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্ব গড়ে তোলে যা তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং স্থায়ী সুবিধা প্রদান করে।
শেভরন বাংলাদেশ সম্পর্কে আরও তথ্য পাওয়া যাবে www.bangladesh.chevron.com-এ।
মন্তব্য করুন