কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৬ এএম
অনলাইন সংস্করণ

মারমেইড বিচ রিসোর্ট: প্রকৃতি আর পর্যটনের অসাধারণ সমন্বয়

ছবি : সৌজন্য
ছবি : সৌজন্য

পরিবেশ, প্রকৃতি আর পর্যটনের এক অসাধারণ সমন্বয়ের নাম মারমেইড বিচ রিসোর্ট। কক্সবাজার সাগরতীরে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের শুরু মারমেইডের হাত ধরেই। পরিবেশবান্ধব নকশাই শুধু নয়, মারমেইডের কার্যক্রমের প্রতিটি ধাপে প্রকৃতির সুরক্ষাকে দেওয়া হয়েছে অগ্রাধিকার।

রিসোর্টের স্থাপত্যে শতভাগ স্থানীয় উপকরণ ও ইকো-ফ্রেন্ডলি কাঠামো ব্যবহার করা হয়েছে। যার সুবাদে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অটুট রাখার পাশাপাশি আধুনিক সুযোগ-সুবিধাও নিশ্চিত করে। সৌরশক্তির মাধ্যমে আলোকসজ্জা পরিচালনা, বৃক্ষরোপণ প্রকল্প এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পরিবেশবান্ধব নীতির প্রয়োগ রিসোর্টটির টেকসই উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে। বিশ্বমানের আতিথেয়তা আর পরিবেশ বান্ধব কার্যক্রমের সুবাদে মারমেইড বিদেশি পর্যটকদেরও পছন্দের তালিকায় থাকে শীর্ষে ।

মারমেইড বিচ রিসোর্ট শুধু একটি অবকাশযাপন কেন্দ্র নয়, এটি প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হওয়ার এক অনন্য সুযোগ। কক্সবাজারের সমুদ্রতীরে অবস্থিত এই রিসোর্ট পরিবেশবান্ধব নকশা ও টেকসই ব্যবস্থাপনার জন্য সুপরিচিত।

মারমেইড ইকো টুরজিম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিসুল হক চৌধুরী সোহাগ বলেন, " আমাদের প্রতিটি স্থাপনা এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত না হয়। প্রতিটি স্থাপনা এমনভাবে তৈরি যেন চারপাশের জীববৈচিত্র্য কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। মারমেইডের কোন স্থাপনার উচ্চতাই আশপাশের গাছ- গাছালির চেয়ে বেশি নয়। যাতে চারপাশের প্রকৃতি থাকে চির সবুজ।

মারমেইডের সব খাবারের উপাদান সংগ্রহ করা হয় স্থানীয়ভাবে। এ কারণে গ্রামের মানুষ বিশেষ করে মেয়েরা তাদের উৎপাদিত ফসল বা সবজি বিক্রি করে সহজে স্বাবলম্বী হতে পারেন।

মারমেইড ইকো রিসোর্ট জীবন বদলে দিয়েছে কক্সবাজার ও পেঁচার দ্বীপ নামের এক অখ্যাত গ্রামের হাজারো মানুষের জীবনও। রিসোর্টের প্রতিটি কাঠামো নির্মাণে স্থানীয় উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে। সৌরশক্তি চালিত আলোকসজ্জা, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। আধুনিক সুযোগ-সুবিধার সঙ্গে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করাই এর মূল দর্শন।

রিসোর্টে অতিথিদের জন্য রয়েছে পরিবেশবান্ধব কটেজ, যা স্থানীয় বাঁশ, পুরোনো জাহাজের কাঠ, মাটিও অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি। কটেজ তৈরিতে কাজ করেন স্থানীয় মানুষরাই।

প্রতিটি কটেজ সমুদ্রের বাতাস ও প্রকৃতির শীতল পরশ উপভোগের সুযোগ দেয়। এছাড়া, খাবারের ক্ষেত্রেও রয়েছে সতর্কতা—জৈবিক উপায়ে উৎপাদিত উপকরণ ব্যবহার করে সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশন করা হয়।

প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার এই প্রচেষ্টায় মারমেইড বিচ রিসোর্ট কেবল দেশের পর্যটকদের জন্য নয়, গোটা বিশ্বের পরিবেশপ্রেমীদের কাছেও এক আদর্শ গন্তব্যের নাম।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী না করার ষড়যন্ত্র চলছে : মাহবুব উদ্দিন খোকন

বাংলাদেশ পুলিশে চাকরির সুযোগ

জুলাই বিপ্লবের কৃতিত্ব কাদের, জানালেন ফখরুল

স্থানীয় নির্বাচন করা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাজ নয় : কিরণ

যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইসরায়েলের প্রতি ফিলিস্তিনিদের বার্তা

সারা দেশে ডেভিল হান্টে গ্রেপ্তার আরও ৭৬৯

‘৫ আগস্টের পর সেনাবাহিনী সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে’

মোশন পোস্টারে জানা গেল টগরের নায়িকা পূজা 

ইসলামবিরোধী অপতৎপরতা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি নেজামে ইসলাম পার্টির

দেশের সব অর্জনের পেছনে রয়েছে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের অবদান : ধর্ম উপদেষ্টা

১০

বোরহানউদ্দিন ফাউন্ডেশনের সভাপতি জহুরুল সম্পাদক জাহিদ

১১

এইচএসসির ফরম পূরণ ২ মার্চ, ফি বৃদ্ধি পেয়েছে সব বিভাগে

১২

ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু, ডাক্তারের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ

১৩

বিয়ে বাড়িতে কনের মামিকে শ্লীলতাহানি, ব্যবসায়ী কারাগারে

১৪

সন্ধ্যায় রাজধানীতে মুষলধারে বৃষ্টি

১৫

জবির ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

১৬

ভুয়া র‌্যাব পরিচয়ে চাঁদাবাজি, অতঃপর...

১৭

এমন ভোট উৎসব করতে চাই, যাতে জনগণ ঈদের আনন্দ পায় : সিইসি

১৮

এনআইডি জালিয়াতিতে জড়িত ৬ কর্মচারী বরখাস্ত

১৯

মালয়েশিয়ায় ব্যাপক ধরপাকড়, বাংলাদেশিসহ গ্রেপ্তার ৬০০

২০
X