ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে আন্তঃকলেজ রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির সেমিনার হলে প্রতিযোগিতাটির আয়োজক ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শহীদ আক্তার হোসেইন, সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেন আইন বিভাগের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শিমা জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. সামসুল হুদা এবং অধিবেশনের মূল বক্তা ছিলেন আইন বিভাগের ডিন এ বি এম ইমদাদুল হক খান। বিজয়ী কলেজের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন মাইলস্টোন কলেজের অধ্যক্ষ কর্নেল আনোয়ারুল ইসলাম খান, হাজি ইউনুস আলী কলেজের অধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলাম খান। এ ছাড়াও বিভিন্ন কলেজের বিজয়ী শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
গত ১৯ অক্টোবর প্রতিযোগতার রেজিস্ট্রেশন শুরু হয় এবং ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত রচনা সংগ্রহ করা হয়। যার ফলাফল প্রকাশ হয় গত ৬ ডিসেম্বর। গুরুত্বপূর্ণ ৩টি বিষয়ের ওপর এবারের রচনা প্রতিযোগিতা করা হয়েছিল। বিষয়গুলো হলো- পরিবেশ রক্ষায় পলিথিন নিষিদ্ধকরণ : বাস্তবায়নের রূপরেখা; চতুর্থ শিল্প বিপ্লব এবং বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষা; রাষ্ট্র সংস্কারে তরুণ সমাজের ভূমিকা।
প্রতিযোগিতায় সারাদেশ থেকে ৭০টা কলেজের প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছিল। অনেক যাচাই বাছাইয়ের পর ১০ জন শিক্ষার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান ভিকারুন্নেসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী মুস্তাইনা মঞ্জুর, ২য় স্থান মাইলস্টোন কলেজের ছাত্রী রাজেস্বরী চেটার্জি ও ৩য় স্থান অর্জন করেছে হাজি ইউনুস আলী কলেজের ছাত্রী জান্নাতুল নিঝুম। ক্রমান্বয়ে আরও যারা বিজয়ী হয়েছে তারা হলো আশুলিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী আঞ্জুয়ারা খাতুন আঞ্জুমান, উত্তরা উচ্চ বিদ্যালয় এবং কলেজের ছাত্রী সানজিদা চৌধুরী ইমা, আশুলিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী ভাবনা আক্তার, নটর ডেম কলেজের ছাত্র আশরাফুল ইসলাম, সরকারি তোলারাম কলেজের ছাত্র তানভীর আক্তার, ভোলার দৌলতখান সরকারি আবু আব্দুল্লাহ কলেজের ছাত্র মো. জিহাদ, রংপুর ক্যাডেট কলেজের ছাত্র মো. ফাহিম হাসান। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার বিতরণীর মাধ্যমে শেষ হয় অনুষ্ঠানটি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. আবুল বাশার খান, পরিচালক নাজলা ফাতমি, আইন বিভাগের সম্মানিত শিক্ষক-শিক্ষিকা, আইন বিভাগের বর্তমান শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীসহ অনেকেই।
মন্তব্য করুন