বাংলাদেশের খাদ্য ও কৃষিপণ্য সরবরাহ এবং প্রক্রিয়াজাতকরণে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে নাবিল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ। গ্রুপটি গম, মসুর ডাল, মটর ডাল ও সয়াবিন মিলসহ বেশ কয়েকটি পণ্যের সবচেয়ে বড় আমদানিকারক।
চলতি বছরের প্রথম আট মাসে দেশের মোট গম আমদানির ২৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ, মসুর ডালের ৪৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং মটর ডালের ৫৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ হয়েছে নাবিল গ্রুপের মাধ্যমে। ফলে বাংলাদেশের ভোগ্য পণ্যের বাজারে বড় আমদানিকারক হয়ে উঠেছে নাবিল গ্রুপ।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর ২০২৪) রাজশাহীর পবায় নাবিল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে পার্টনারস মিট ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান নাবিল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও কৃষিবিদ মো. আমিনুল ইসলাম।
এসময় অনুষ্ঠানে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সাংবাদিক, বিভিন্ন পেশাজীবী এবং গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, নৈতিকতা ও গুণগতমানে আপোষহীন নাবিল গ্রুপ পণ্য আমদানি ছাড়াও কিছু ভোগ্য পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে বাজারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বিশেষ করে চাল উৎপাদনে এই গ্রুপ দেশের অন্যতম শীর্ষ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। নাবিল গ্রুপ বর্তমানে দ্বিতীয় বৃহত্তম চাল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। গ্রুপটির দৈনিক চাল উৎপাদনের সক্ষমতা ১ হাজার ৩৬৪ টন।
কৃষি শিল্পের প্রসার ঘটিয়ে, শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে নাবিল গ্রুপ প্রতিনিয়ত নতুন নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে চলেছে। দেশের ফুড বিজনেস, এগ্রি বিজনেস, ট্রেডিং সেক্টর এবং সার্ভিস সেক্টর নিয়ে কাজ করা নাবিল গ্রুপের ২০টি প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে রাজশাহী, ঢাকা, চট্টগ্রাম, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, খুলনা, রংপুর, দিনাজপুর, নওগা সহ দেশের প্রায় ১ লক্ষ মানুষের রুটি-রোজগারের প্রত্যক্ষ সহযোগী নাবিল গ্রুপ।
সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে নাবিল গ্রুপের আমদানিকৃত পণ্যের মোট মূল্য ছিল ১২১ কোটি ডলার। গ্রুপটি এখন বিলিয়ন ডলার বা শতকোটি ডলার ক্লাবের অন্যতম সদস্য বলে জানান, নাবিল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও কৃষিবিদ মো. আমিনুল ইসলাম।
দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে সহস্রাধিক পার্টনার ও ডিলার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারীও অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
মন্তব্য করুন