গাড়িবুক বাংলাদেশের পর্যটকদের জন্য নিয়ে এসেছে নতুন একটি অভিজ্ঞতা। দেশের প্রথম অ্যাপ হিসেবে গাড়িবুক পর্যটকদের জন্য কক্সবাজারের বিখ্যাত ‘চান্দের গাড়ি’ বুকিং সুবিধা চালু করেছে। মেরিন ড্রাইভ কিংবা আশপাশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ‘চান্দের গাড়ি’ ভ্রমণপ্রেমীদের কাছে একটি আলাদা আকর্ষণ। আগে পর্যটকদের জন্য এই গাড়ি খুঁজে পেতে অনেক সময় ব্যয় সঙ্গে কষ্টও করতে হতো। কিন্তু এখন গাড়িবুক অ্যাপের মাধ্যমে ঘরে বসেই এই গাড়ি বুক করা সম্ভব।
শুধু চান্দের গাড়িই নয়, গাড়িবুকের বহরে রয়েছে আরও নানা ধরনের অপশন। ছোট ফ্যামিলির জন্য সেডান কার, বড় গ্রুপের জন্য নোহা, হাইএস, ট্যুরিস্ট বাস, কোস্টার ভ্যান। যা দিয়ে ইন্টার সিটি, ইনসাইড সিটি, ওয়ান ওয়ে, রাউন্ড ওয়ে, এয়ার পোর্ট পিক আপ ড্রপ অবসহ আওয়ারলি গাড়ি বুক করার সুবিধা।
এ ছাড়াও বিশেষ অনুষ্ঠানে ভাড়া করার জন্য বিলাসবহুল গাড়ি যেমন- BMW, Mercedes, Harrier-এর মতো গাড়ি-ও রয়েছে। বর্তমানে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট বিভাগে গাড়িবুকের কার্যক্রম চালু রয়েছে।
গাড়িবুক অ্যাপের মাধ্যমে যাত্রীরা পছন্দ অনুযায়ী গাড়ি, ড্রাইভার এবং ভাড়া নির্বাচন করতে পারেন। একাধিক ড্রাইভার বিড করায় ভাড়া তুলনামূলক কম থাকে। এই স্বাধীনতা ভ্রমণকে আরও সহজ এবং স্বাচ্ছন্দ্যময় করতে সাহায্য করে।
গাড়িবুক-এর একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো এর ‘জিরো কমিশন’ মডেল। অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে চালকদের আয়ের বড় অংশ কমিশন হিসেবে কেটে নেওয়া হয়, যা চালকদের আয়ের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। কিন্তু গাড়িবুক কোনো কমিশন না নেওয়ায়, চালকরা তাদের সম্পূর্ণ আয় নিজের কাছে রাখতে পারেন।
এই নীতি চালকদের জন্য একটি স্থিতিশীল আয় নিশ্চিত করে এবং মানসিক চাপ কমায়। কমিশনের ঝামেলা না থাকায় চালকরা ট্রিপের মাঝে প্রয়োজনীয় বিরতি নিতে পারেন, যা তাদের ক্লান্তি কমাতে সাহায্য করে। এর ফলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমে এবং যাত্রীরা পান আরও নিরাপদ এবং আরামদায়ক অভিজ্ঞতা।
কক্সবাজারের পর্যটন এবং ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য গাড়িবুক একটি বিশেষ সেবা নিয়ে এসেছে। সহজ বুকিং প্রক্রিয়া, সাশ্রয়ী ভাড়া এবং চালকদের জন্য সুবধাজনক নীতির মাধ্যমে গাড়িবুক শুধু একটি ট্রিপ প্ল্যাটফর্ম নয়, বরং এটি বাংলাদেশের পর্যটনে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এটি প্রযুক্তি এবং সেবার মাধ্যমে দেশের ভ্রমণকে আরও সহজ, নিরাপদ এবং আনন্দময় করে তুলেছে।
মন্তব্য করুন