হাইকোর্টের নির্দেশনা এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের অনুমোদনের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটিডের সঙ্গে পার্ল পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লি. শিল্প প্রকল্প দুটি একীভূত হয়।
একীভূত হওয়ার পূর্বে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ছিল ৯ কোটি ৩৮ লাখ ৮৮ হাজার ২৫৬ টাকা বা ৯৩ লাখ ৮৮ হাজার ৮২৫টি শেয়ার এবং একীভূত হওয়ার পর চলতি বছরের ৩১ মার্চ বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লি.- এর পরিশোধিত মূলধন হয়েছে ৩৪ কোটি ১০ লাখ ৫১ হাজার ১৬ টাকা বা ৩ কোটি ৪১ লাখ ৫ হাজার ১০১টি শেয়ার।
কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন বৃদ্ধি পাওয়ায় আর্থিক প্রতিবেদনের তুলনামূলক চিত্র বর্তমান বর্ধিত মূলধনের আলোকে তরলীকৃত (Diluted) করে প্রকাশ করার নিয়ম রয়েছে। এক্ষেত্রে কোম্পানির ৩য় প্রান্তিক ২০২৩ সালের ১ জুলাই থেকে হতে চলতি বছরের ৩১ মার্চ, এ ৯ মাসে ইপিএস ২ দশমিক ৭১ টাকা হয়েছে যার বিপরীতে পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের ইপিএস ছিল ১ দশমিক ৩২ টাকা।
চলতি তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস বৃদ্ধি পেয়েছে (২ দশমিক ৭১-১ দশমিক ৩২) = ১ দশমিক ৩৯ টাকা অর্থাৎ ১০৫ শতাংশ। পূর্বের পরিশোধিত মূলধন ৯ কোটি ৩৮ লাখ ৮৮ হাজার ২৫৬ টাকা বা ৯৩ লাখ ৮৮ হাজার ৮২৫টি শেয়ার অনুযায়ী ইপিএসের চলতি তৃতীয় প্রান্তিক ২০২৩ সালের ১ জুলাই থেকে চলতি বছরের ৩১ মার্চ- এ ৯ মাস মেয়াদে তুলনামূলক চিত্র হতো ৯ দশমিক ৮৩ টাকা যার বিপরীতে পূর্ববর্তী বছরে একই সময়ে ইপিএস ছিল ৪ দশমিক ৭৯ টাকা। এক্ষেত্রেও চলতি প্রান্তিকে ইপিএস বৃদ্ধি পেয়েছে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ টাকা অর্থাৎ ১০৫ শতাংশ।
চলতি তৃতীয় প্রান্তিক ২০২৩ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ- এ ৯ মাস মেয়াদে কোম্পানির রেভিনিউ ৭৫ দশমিক ৮৩ কোটি টাকা ও নিট মুনাফা ৯ দশমিক ২৩ কোটি টাকা যার বিপরীতে পূর্ববর্তী বছরে একই সময়ে রেভিনিউ ছিল ৬০ দশমিক ২৬ কোটি টাকা এবং নিট মুনাফা ছিল ৪ দশমিক ৫০ কোটি টাকা। রেভিনিউ ও মুনাফা যথাক্রমে বৃদ্ধি পেয়েছে ১৫ দশমিক ৫৭ কোটি টাকা এবং ৪ দশমিক ৭৩ কোটি টাকা অর্থাৎ ২৬ শতাংশ ও ১০৫ শতাংশ।উল্লিখিত তথ্য বিশ্লেষণে প্রতীয়মান হয়, কোম্পানির বিক্রয়, মুনাফা ও ইপিএসের প্রবৃদ্ধি চলমান রয়েছে অর্থাৎ কোম্পানি ব্যবসায়িক সাফল্যের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে।
মন্তব্য করুন