চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় ভারি বর্ষণের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একইসঙ্গে দেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দরগুলোর উপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ জুন) সকাল থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় ভারি বর্ষণের আভাস দিয়েছে দিয়েছে সংস্থাটি।
ভারি বর্ষণজনিত কারণে চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে ভূমি ধসের শঙ্কার কথাও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
চট্টগ্রাম পতেঙ্গা প্রধান আবহাওয়া কার্যালয়ের আবহাওয়াবিদ ও পূর্বাভাস কর্মকর্তা উজ্জল কান্তি পাল কালবেলাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, শুক্রবার সকাল থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ হতে পারে। ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতকে ভারি বর্ষণ এবং ৮৯ মিলিমিটার থেকে এর বেশি বৃষ্টিপাত হলে তাকে অতিভারি বর্ষণ বলা হয়। টানা ভারি বৃষ্টিপাতে চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকাগুলোতে ভূমিধসের আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন এ আবহাওয়া কর্মকর্তা।
এদিকে আবহাওয়ার অধিদপ্তরের বার্তায় বলা হয়েছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকা ও তার আশপাশে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সতর্ক সংকেতের প্রভাবে শনিবার রাত থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত চট্টগ্রামের কিছু কিছু এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। ভারি বৃষ্টির বার্তায় চট্টগ্রাম নগরের বাসিন্দাদের মধ্যে দেখা গেছে জলাবদ্ধতা আতঙ্ক।
চকবাজার এলাকার বাসিন্দা মো. ঈসমাইল কালবেলাকে বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই বাসা-বাড়ি পানির নিচে তলিয়ে যায়। এই সমস্য ৩০ বছর ধরে। সমস্যা সমাধানে চকবাজারের আশপাশে কিছু খালে কাজ চলছে। এরইমধ্যে বৃষ্টি হলে আরও বেশি দুর্ভোগে পড়তে হবে।
মন্তব্য করুন