ঈদের ছুটিতে চট্টগ্রাম নগরের বিনোদন কেন্দ্রগুলো জমজমাট হয়ে উঠেছে। ঈদের দিন থেকে চট্টগ্রামে থেমে থেমে বৃষ্টি হলেও সেই প্রতিকূল আবহাওয়া উপেক্ষা করেই বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে দেখা গেছে উপচেপড়া ভিড়। বিশেষ পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা, ফয়’স লেকসহ আশপাশের বিনোদন স্পটগুলো একেবারেই লোকারণ্য হয়ে ওঠে। পাশাপাশি দর্শনার্থীদের আকর্ষণে পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে নেওয়া বিশেষ ব্যবস্থা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ঈদের দ্বিতীয় দিন সকাল থেকেই পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা, ফয়’স লেক অ্যামিউজমেন্ট পার্ক ও ওয়াটার পার্ক সি ওয়ার্ল্ড, পতেঙ্গা প্রজাপতি পার্ক, কর্ণফুলী নদীর অভয়মিত্র ঘাট, বহদ্দারহাট স্বাধীনতা পার্ক, আগ্রাবাদ কর্ণফুলী শিশু পার্ক, হালিশহর সাগরপাড় ছাড়াও সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী সাগরপাড়, মীরসরাইয়ে মহামায়া লেক, আনোয়ারায় পারকি সমুদ্রসৈকতে ভিড় জমে দর্শনার্থীদের। তৃতীয় দিনেও চিত্রও ছিল একই রকম।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের বিনোদন স্পটগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে দর্শনার্থীরা সাচ্ছন্দ্যে ঘুরছেন।
দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকায় সবচেয়ে বেশি জনসমাগম হয়েছে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এলাকায়। বিকেল হতেই হাজার হাজার মানুষের মিলনমেলায় মুখর হয়ে উঠে পকেঙ্গা সৈকত এলাকা। নেভাল একাডেমিতে আড্ডা জমে ওঠে তরুণদের আড্ডা। তাছাড়া বিকেল হতেই চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা হয়ে ওঠে লোকারণ্য। রয়েল বেঙ্গল টাইগার, সাদা বাঘ, সিংহ, মেছোবিড়াল, মায়া হরিণ, চিত্রা হরিণ, উল্লুক, হনুমান, গয়াল, জেব্রা, ক্যাঙ্গারু, ওয়াইল্ড শিল্ড, লামা, গোন্দগোকুল, বাঘডাশ, সজারু, শিয়াল, কুমির, জলহস্তী, রাজধনেশ, কাক ধনেশ, চিল, শঙ্খ চিল, শকুন, ঈগল, ময়ূর, টিয়া, দেশি-বিদেশি শালিক, বক, ডাহুক, ঘুঘু, ময়না, উট পাখি, মাথুয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী ও পাখি দেখতে ভিড় জমান দর্শনার্থীরা।
মন্তব্য করুন