জাতীয় কিংবা স্থানীয় নির্বাচন যেটাই হোক- চট্টগ্রামে নির্বাচন এলেই প্রার্থী হয়ে আলোচনায় আসেন জাতীয় পার্টির চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি সোলায়মান আলম শেঠ। তবে এবার চট্টগ্রামজুড়ে তিনি আলোচনায় এসেছেন একেবারেই ভিন্ন প্রসঙ্গে। কোরবানি ঘিরে নিজস্ব খামার থেকে কিছু গরু বিক্রির জন্য এনেছিলেন চট্টগ্রাম নগরীতে। তারপর অনুমতি ছাড়াই সেগুলো রীতিমতো প্যান্ডেল টাঙিয়ে বানিয়েছেন খাইন। ব্যানার, ফেস্টুন আর আলোক সজ্জায় সাজিয়েছেন সব। তবে সবশেষে জাপা নেতার গরু বিক্রির এই কারবার বন্ধ করে দিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক)।
জানা গেছে, কোরবানি কেন্দ্র করে কয়েকদিন আগেই নগরের কাজীর দেউড়ী এলাকায় খালি প্লটে নিজস্ব খামার থেকে গরু এনে বিক্রির জন্য খাইন বানান জাতীয় পার্টির নেতা সোলায়মান আলম শেঠ। সেখানে টাঙানো বাশঁ-ত্রিপলে সেখানে বানানো হয় গরু বাঁধার খাইন। আলোকসজ্জাও করা হয়, কাজীর দেউড়ীসহ আশপাশের এলাকা। এরপর বেশ কয়েকদিন ধরে ‘শেঠ এগ্রো লিমিটেড ফার্ম’ নামে সেই খামারের প্রচার চালানো হয় ব্যানার ঝুলিয়ে।
বুধবার (১২ জুন) সেখানে অভিযানে পরিচালনা করে ম্যাজিস্ট্রেট চৈতী সর্ববিদ্যার নেতৃত্বে একটি দল। এ সময় অনুমতি ছাড়া হাট বসানোর দায়ে শেঠ এগ্রো লিমিটেডকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি বন্ধ করে দেওয়া হয় হাটটি। অভিযান চলাকালে বাগবিতণ্ডায় জড়ান সোলায়মান আলম শেঠ। এদিকে বুধবার সকালে এ অভিযানে পর থেকে জাপা নেতার এই হাটটি ঘিরে রাখে পুলিশ। দুপুর পর্যন্ত একে একে খুলে ফেলা হয় বিভিন্ন ব্যানার, খাইনের বাঁশ ও ত্রিপল। সন্ধ্যার দিকে সেখানে রঙিন আলোকসজ্জা জ্বলতে দেখা যায়নি।
সোলায়মান আলম শেঠ কালবেলাকে বলেন, ‘আমি বুঝিনি কেন আমারটা (গরু বিক্রয় কেন্দ্র) করে দেওয়া হয়েছে। গরু তো আরও অনেকেই বিক্রি করছেন। সেগুলো বন্ধ হলো না। আমাকে ২০ হাজার টাকা ফাইনও করা হলো। এগুলো আমার নিজস্ব খামারের গরু। যেখানে সরকার খামার করতে উৎসাহিত করছেন, সেখানে আবার বিক্রি করতে গেলে অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হবে কেন?’
চসিক সূত্র জানিয়েছে, এবার নগরের সাতটি অস্থায়ীসহ মোট ১০টি হাটের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অবৈধ হাটগুলোর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কায় সম্প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চসিকের বৈধ ইজারাদাররা। এরপর গত মঙ্গলবার নগরের বিভিন্ন পয়েন্টে বসানো অবৈধ হাটগুলো বন্ধে জোরালো পদক্ষেপের জন্য নির্দেশনা দেন চসিকের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আফরোজা কালাম। মূলত এর জের ধরেই নগরের কাজীর দেউড়ী এলাকার অভিযানে নামে চসিকের ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই এলাকাসহ আরও কয়েকটি এলাকায় এক যোগে অভিযান চালানো হয়।
মন্তব্য করুন