চট্টগ্রামভিত্তিক হাবিব গ্রুপের পরিচালকদের আগামী ৬০ দিনের মধ্যে ৩৫০ কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালত। তাদের ঋণের পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা।
মঙ্গলবার (১১ জুন) খেলাপি ঋণের ৪ (চার) মামলায় এই রায় দেন অর্থঋণ আদালত চট্টগ্রামের বিচারক মুজাহিদুর রহমান। এর আগে তাদের বিরুদ্ধে দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন অর্থঋণ আদালত চট্টগ্রামের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম। কালবেলাকে তিনি বলেন, ওয়ান ব্যাংকের করা ৩টি এবং ঢাকা ব্যাংকের করা এক অর্থঋণ মামলায় চট্টগ্রামভিত্তিক শিল্পগোষ্ঠী হাবিব গ্রুপের চেয়ারম্যান এয়াকুব আলী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইয়াছিন আলী, পরিচালক আমিনা মাহবুব, আঞ্জুমান আরা বেগম, সালমা সুলতানা, তানভীর হাবিব, সালমান হাবিব, মাশরুফ হাবিবের বিরুদ্ধে ৩৫০ কোটি টাকার ডিক্রি প্রচার করেছে চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালত। ৬০ দিনের মধ্যে ডিক্রিকৃত ২১০ কোটি টাকা ওয়ান ব্যাংক বরাবরে এবং অবশিষ্ট ডিক্রিকৃত টাকা ঢাকা ব্যাংক বরাবরে পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
তিনি আরও বলেন, খেলাপি ঋণ আদায়ের দাবিতে ওয়ান ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখা হাবিব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এইচজিএভিয়েশন লিমিটেড, সিয়ামস সুপিরিয়র লিমিটেড এবং লিগ্যাসি ফ্যাশন লিমিটেডের বিরুদ্ধে অর্থঋণ আদালতে ৩টি মামলা দায়ের করে। হাবিব গ্রুপের অপর একটি প্রতিষ্ঠান হাবিব স্টিলস লিমিটেডের বিরুদ্ধে ১৩৮ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ আদায়ের দাবিতে মামলা দায়ের করে ঢাকা ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখা। চারটি মামলাতে ঋণের বিপরীতে বিবাদীদের কোনো স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ব্যাংকের নিকট বন্ধক বা দায়বদ্ধ ছিল না। শুধু পারসোনাল গ্যারান্টিতে বিপুল পরিমাণ ঋণ গ্রহণ করেছিলেন হাবিব গ্রুপের পরিচালকেরা দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে অবস্থানকারী বিবাদীরা আমমোক্তারের মাধ্যমে মামলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য আবেদন করেছিলেন। আদালত বিবাদীগণকে সশরীরে উপস্থিতি এবং লিখিত বর্ণনায় স্বাক্ষর করার জন্য বেশ কয়েকবার দিন ধার্য করলেও তারা আদালতে উপস্থিত হননি। বিপুল পরিমাণ ঋণের বিপরীতে কোনো বন্ধকি সম্পত্তি না থাকায় এবং বিবাদীরা আদালতের এখতিয়ার সীমার বাইরে অবস্থান করায় আমমোক্তারের মাধ্যমে তাদের মামলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতার আবেদন প্রত্যাখ্যান করে একতরফা সূত্রে ডিক্রি প্রচার করেন। ৬০ দিনের মধ্যে ডিক্রিকৃত টাকা পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন