চট্টগ্রামের আনোয়ারায় আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ ১৮ জন আহত হয়েছে। বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিলের আগে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (৭ জুন) বিকেলে উপজেলার বন্দর কমিউনিটি সেন্টারে দু’পক্ষের অবস্থান কর্মসূচিতে এ ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কর্ণফুলী থানা পুলিশ ৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সরকারের প্রস্তাবিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে শুক্রবার বিকেল ৪টায় আনন্দ মিছিলের কর্মসূচির ঘোষণা দেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ। এরপর জুমার নামাজের পর থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকে নেতাকর্মীরা।
একপর্যায়ে অবস্থানরত নেতাকর্মীরা দু’পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়ে। পরে দু’পক্ষের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক এম.এ মান্নান চৌধুরী ও পুলিশ সদস্য মোহাম্মদ জাবেরসহ ১৮ নেতাকর্মী আহত হয়। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৬ রাউন্ড গুলি এবং টিয়ারশেল ছোড়ে। পরে পুলিশ সদস্যরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক এম.এ মান্নান চৌধুরী ও বরুমছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান শাহদাত হোসেন চৌধুরীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, সরকারের প্রস্তাবিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে আমাদের আনন্দ মিছিলের ঘোষণা করা হয়। কিন্তু একই স্থানে আরেক দল পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করায় আমাদের কর্মসূচিটি স্থগিত করে শুক্রবার বিকেলে পালন করার উদ্যোগ নিই। এরপর তারা আবারও পাল্টা কর্মসূচির ঘোষণা দেন একই স্থানে। বিকেলে আমাদের নেতাকর্মীরা জড়ো হলে আমাদের ওপর হামলা করে তারা। হামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যপক এম.এ মান্নান চৌধুরী, বরুমছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান শাহদাত হোসেন চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা অজিত কুমার দাশ, চাতরী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি তাজু উদ্দিন, যুবলীগ নেতা সাইফুদ্দিনসহ ১৩ জন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়।
আনোয়ারা উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী মোজাম্মেল হক বলেন, বাজেট ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে গতকাল আমরা আনোয়ারা সদরে কর্মসূচি দিয়েছিলাম। একই সময়ে সদরে তারাও কর্মসূচি দেওয়ার কারণে আমরা সেটি চাতরী চৌমুহনী বাজারে নিয়ে আসি। আজ শুক্রবার বিকেলে কাফকো সেন্টারে আমার সমর্থকরা কর্মসূচি ঘোষণা করলে তারাও একই সময়ে কর্মসূচি ঘোষণা করে। কর্ণফুলী থানার ওসির উপস্থিতিতে এ ঘটনাটি ঘটে। এতে মোহাম্মদ টিপুসহ আমার ৪ জন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছে।
কর্ণফুলী থানার ওসি মো. জহির হোসেন বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৬ রাউন্ড গুলি এবং টিয়ারশেল ছোড়ে। দু’পক্ষের সংঘর্ষে আমাদের এক পুলিশ সদস্যও গুরুতর আহত হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন