চট্টগ্রামে ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ মোকাবিলায় ২৯০টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত করেছে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়।
শনিবার (২৫ মে) রাতে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, দুর্যোগ মোকাবিলায় চট্টগ্রাম জেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ১টি করে মেডিকেল টিম, প্রতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫টি, প্রতি আরবান ডিসপেনসারিতে ১টিসহ চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ৫টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন সকল চিকিৎসক-কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বাধ্যতামূলক কর্মস্থলে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি খোলা হয়েছে জরুরি কন্ট্রোল রুম।
সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় ইউনিয়ন পর্যায়ে ২০০টি, প্রতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫টি করে ৭৫টি, আরবান ডিসপেন্সারি ৯টি তে ৯টি, স্কুল হেলথ এ ১টি, জেনারেল হাসপাতাল ৫টি টিম গঠন করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার রাত ৯টার দিকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ঘূর্ণিঝড় রিমালের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় চট্টগ্রামে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় জেলা প্রশাসক ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট সকলকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করেন। বিশেষ করে সন্দ্বীপ, আনোয়ারা, বাঁশখালী, মিরসরাই, সীতাকুণ্ড ও কর্ণফুলী উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদেরকে বিশেষভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে চট্টগ্রামে ব্যাপক বর্ষণ ও পূর্ণিমার কারণে তীব্র জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা থাকায় উপকূলবর্তী এলাকাসমূহ এবং পাহাড়ি এলাকা থেকে লোকজনকে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরিয়ে নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক, সংশ্লিষ্ট ইউএনও ও এসিল্যান্ডদের নির্দেশনা প্রদান করেন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত ও জানমাল রক্ষায় চট্টগ্রামের উপকূলীয় ছয় উপজেলায় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে সেখানে খোলা হয়েছে ৮৫টি আশ্রয়কেন্দ্র, প্রস্তুত করা হয়েছে আরও ৭৮৫টি। ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের আশ্রয়কেন্দ্রে আনতে মাইকিং করা হচ্ছে। কাজ করছে বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, জনপ্রতিনিধি ও স্বেচ্ছাসেবকরা। দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রাথমিক চাহিদা মিটানোর জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২১ টন চাল।
মন্তব্য করুন