হাতে লাল-সবুজের পতাকা, সবার চোখে মুখে উচ্ছ্বাস। আর যারা তীরে দাঁড়িয়ে আছেন তারাও দুই হাত নেড়ে জানাচ্ছে অভিবাদন। সোমালীয় জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়ার ৬৫ দিন পর চট্টগ্রামে ফিরল ২৩ নাবিক। সেই ফেরার চিত্রটা এমনই। এ সময় অতীতের স্মৃতিচারণ করে নাবিকরা জানান, তারা অতীত মনে করতে চান না, এটা আনন্দের সময়।
মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল-১ (এনসিটি) নম্বর এসে পৌঁছায় নাবিকদের বহনকারী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ।
সেখানে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নাবিকদের নিয়ে এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। তাদের বরণ করতে উপস্থিত হন স্বজনরা। পাশাপাশি কেএসআরএমের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে দিয়ে নাবিকদের আত্মীয়স্বজন-পরিবারের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হলো।
নাবিকরা জানান, বন্দিদশার শুরুর দিকে অভিজ্ঞতা ছিল ভয়াবহ। এ সময় তারা জীবন নিয়ে ফিরতে পারবেন কি না তা নিয়ে সংশয়ে ছিলেন। সবসময় একে-৪৭ সহ অনেক ভারী ভারী অস্ত্র নিয়ে পাহারায় ছিলেন জলদস্যুরা। কৌশলগত কারণে নাবিকরা জলদস্যুদের সহায়তা করতেন, জলদস্যুরা যেমনটা বলতে তেমনটাই শুনতে হতো তাদের। তবে এত তাড়াতাড়ি যে তারা ফিরতে পারবেন এটা কখনো কল্পনা করেননি। ফিরেই নাবিকরা উল্লাস করে বলেন, অতীত মনে করতে চায় না। এখন আনন্দের সময়।
এর আগে গত ১২ মার্চ সোমালীয় জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হয় এমভি আবদুল্লাহ। প্রায় ১ মাস পর গত ১৪ এপ্রিল ভোরে জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হয় ২৩ নাবিক। এরপর জাহাজটি চলে যায় দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে। সেখান থেকে মিনা সাকার নামের আরেকটি বন্দরে চুনা পাথরভর্তি করার পর চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয়। সবমিলিয়ে ৬৫ দিন পর মুক্ত নাবিকরা চট্টগ্রামে ফিরেছেন।
মন্তব্য করুন