ইয়াশরা ফাতেমা ও উমাইজা মাহদিন। ওদের বাবা আতিকুল্লাহ খান সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ’র চিফ অফিসার।
মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেল ৩টা থেকে ফিরোজা রংয়ের জামা পরে দুই বোন অপেক্ষা করছিল চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি-১ জেটিতে।
বড় বোন চোখে পরা ছিল লাভ আকৃতির একটি চশমা। তাদের চোখে-মুখে উচ্ছাস ও বাবাকে ফিরে পাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা।
উমাইজা মাহদিন কালবেলাকে বলেন, গতকাল থেকে ঘুমাতে পারিনি। কখন বাবা আসবেন সেই প্রতীক্ষায়।
ছোট্ট ইয়াশরা ফাতেমা বলেন, আজকে আমাদের প্রচণ্ড রকমের আনন্দের দিন। কারণ আজ আমার বাবার কাছ থেকে আর কেউ আমাদের আলাদা করতে পারবে না।
এদিকে মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল-১ (এনসিটি) নম্বর এসে পৌঁছায় নাবিকরা। সোমালিয়ার জলদস্যুরে হাতে জিম্মি হওয়ার ৬৫ দিন পর অবশেষে চট্টগ্রামেফিরল ২৩ নাবিক। এর মধ্যে ২৩ নাবিকরে স্বজন-পরিবারের দীর্ঘ প্রতীক্ষা অবসান হলো। নাবিকদের উৎকণ্ঠা কেটে যেতেই উচ্ছ্বাস, উদ্দীপনা আর পরিবারের স্বজনরা বরণ করে নেয় তাদের। মুক্ত হওয়া নাবিকদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরীও নাবিকদের বরণ করে নিতে রওনা হয়েছেন। বিকেল পৌনে ৪টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল-১ (এনসিটি) নম্বর এসে পৌঁছায় নাবিকরা। সেখানে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নাবিকদের নিয়ে এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। তাদের বরণ করতে উপস্থিত হয়েছেন স্বজনরা। পাশাপাশি কেএসআরএমের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত আছেন।
মন্তব্য করুন