থরে থরে সাজানো বিভিন্ন রকমের পিঠা। কোনোটির নাম ছাঁচ পিঠা, কোনোটির নাম খোলাজালি কিংবা চিতই। গত ১৫ দিনব্যাপী চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ (সিআইএমসি) ক্যাম্পাসে এভাবেই হয়েছে শীতের পিঠা উৎসব। যেখানে চিকিৎসক, নার্স ও তিনটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মিলে উপস্থাপন করেছেন প্রায় ১৫ হাজার পিঠা।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানার হংস পাড়া সিআইএমসি ক্যাম্পাসে পুরস্কার বিতরণীর মাধ্যমে বর্ণিল উৎসব শেষ হয়। এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি ‘শীতের হাওয়ায় লাগলো নাচন আমলকীর এই ডালে ডালে’ শীর্ষক প্রতিপাদ্যে এই উৎসব শুরু হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, এ আয়োজনে অংশ নিয়েছেন সিআইএমসিসহ চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল ডেন্টাল কলেজ (সিআইডিসি) ও চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল নার্সিং কলেজের (সিআইএনসি) শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তারা। পিঠা উৎসবের পাশাপাশি অনুষ্ঠিত হয়েছে, বার্ষিক ক্রীড়া ও সংস্কৃতি উৎসব। তিনটি প্রতিষ্ঠানের দুই হাজার ৮০০ শিক্ষক, শিক্ষাথী, নার্স ও কর্মকর্তা নিজেদের তৈরি ১৫ হাজার উপস্থাপন করেন।
বৃহস্পতিবার সমাপনী অনুষ্ঠানে ফিতা কেটে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন তিন কলেজ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ডেভেলপমেন্ট ফর এডুকেশন সোসাইটি এন্ড হেলথ’র এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী দ্বীন মোহাম্মদ। অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল (চমেক) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ও চমেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শাহেনা আকতার, ইসি কমিটির সেক্রেটারি অধ্যাপক ডা. মো. মুসলিম উদ্দিন সবুজ, ট্রেজারার ও সিআইডিসি গভর্নিং বডির সভাপতি জালাল উদ্দিন আকবর, সিআইএমসির অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. টিপু সুলতান, সিআইএমসিএইচ এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আমির হোসেন, সিআইডিসির অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. আকরাম পারভেজ চৌধুরী ও উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. আলী হোসাইন, সিআইডিসিএইচ এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. শাহিকুল জাব্বার, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালউদ্দিন মো. রেজা ও সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ রুবি দত্ত ও ৪নং চান্দগাঁও ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এসরারুল হক এসরাল প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও এক্সট্রা ক্যারিকুলার এক্টিভিটিজ ডিভিশনের প্রধান ডা. মেহেরুন্নিছা খানম।
মন্তব্য করুন