চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুস সালাম (এমএ সালাম) দলের মনোনয়ন পেয়েছেন। এই মনোনয়ন ঘিরে নানা আলোচনা হলেও হাটহাজারী উপজেলা ও তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সেই নৌকার মাঝির পক্ষে একাট্টা হয়েছেন। এরই মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা এবং দলের প্রার্থীর মনোনয়ন বহাল রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিও আবেদন জানিয়েছেন উপজেলা ও তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
জানা গেছে, জাতীয় সংসদ ২৮২ চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী, চসিক ১ নং ও ২ নং ওয়ার্ড) আসনে মোহাম্মদ আবদুস সালাম (এম. এ সালাম) আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী। এখানে অন্য প্রার্থীরা হলেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ব্যরিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি (আপিল করে বহাল মনোনয়নপত্র), কল্যাণ পার্টির নেতা মেজর জেনারেল অব. ইব্রাহীম, তৃণমূল বিএনপির (প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ফোরাম) মো. নাজিম উদ্দীন, বাংলাশে সুপ্রিম পার্টির কাজী মহসীন চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্ম নাছির হায়দার করিম, বিএনএফ’র আবু মোহাম্মদ শামসুদ্দীন, বাংলাশে ইসলামী ফ্রন্টের সৈয়দ মোখতার আহমেদ, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের ছৈয়দ হাফেজ আহমদ।
হাটহাজারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী ও সাধারণ সম্পাদক মো. সোহরাব হোসেন চৌধুরী নোমান বলেন, হাটহাজারী সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুস সালামের মনোনয়ন বহাল রাখতে এবং কোনো অবস্থাতেই কোনো জোট প্রার্থীকে মনোনয়ন না দেওয়ার জন্য সর্বসম্মতভাবে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির রেজুলেশন ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা), ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের আবেদন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান।
হাটহাজারী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সভাপতি এসএম রাশেদুল আলম কালবেলাকে বলেন, হাটহাজারী উপজেলার নৌকার প্রার্থী এমএ সালামের পক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগসহ তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা একাট্টা রয়েছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের একটি বর্ধিত সভাও হয়েছে। নৌকার প্রার্থীকে বহাল রাখতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদনও জানিয়েছি। তবে দলের নৌকা প্রতীকে দলের প্রার্থীর পক্ষে আমরা এক ও অভিন্ন হিসেবে কাজ করবেন বলেও জানান তিনি।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সপরিবার নির্মম হত্যাকাণ্ডের পরবর্তীতে বিগত ৪৮ বছর ধরে নানান ষড়যন্ত্র ও ধর্মীয় অপপ্রচারের কারণে আওয়ামী লীগ দলীয় কোনো সংসদ সদস্য এই আসনে নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ পায়নি। ২০০৮ সালে বর্তমানে নৌকা প্রতীকে মনোনয়নপ্রাপ্ত মোহাম্মদ আবদুস সালামকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দিয়েছিলেন কিন্তু মহাজোটের কারণে পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে তিনি (সালাম) মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। ২০০৮ সালের পর বিগত তিন তিনটি সংসদ নির্বাচনে এই আসনে মানুষ নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে না পেরে হতাশ হয়ে পড়েছে সর্বস্তরের দলীয় নেতাকর্মীরা।
মন্তব্য করুন