চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার পুটিবিলায় মেয়ের দায়ের কোপে প্রাণ গেল পিতার। ওই ঘটনায় মেয়েকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) আনুমানিক সকাল ১০টায় ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সরইয়ার বলির জুম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আবদুর রহমান (৫০) সরাইয়ার বিল এলাকার মৃত আলতাফ মিয়ার পুত্র। আটককৃত মেয়ের নাম হুমায়রা বেগম (২৩)। সে একই ইউনিয়নের গৌড়স্থান এলাকার আবদুস ছালামের স্ত্রী। নিহতের পরিবারে ৪ মেয়ে এবং ১ ছোট ছেলেসন্তান রয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর হোসাইন মানিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহতের ভাই বজলুর রহমান বলেন, সকালে জমিতে ধান কাটতে যাই আমি। পরে বাড়ি থেকে কল দিয়ে বলে বাড়িতে সমস্যা হয়েছে। বাড়িতে গিয়ে দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে আমার ভাই। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যায় সে।
তিনি আরও বলেন, ভাইজীর তিন বছর আগে বিয়ে হয়। তার একটি মেয়েসন্তান রয়েছে। তার মানসিক সমস্যা আছে। সে কারণে বিয়ের পর বেশিদিন শ্বশুরবাড়িতে থাকতে পারেনি। স্বামীর সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া হতো। তাই সে মেয়ে সন্তানসহ বাপের বাড়িতে থাকত। ঘরেও বাবা-মায়ের সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া হতো। সকালে গরু নিয়ে বিলে ঘাস খাওয়াতে নিয়ে যায়। বাবার সঙ্গে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মেয়ে গলায় দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।
এ ঘটনার খবর পেয়ে লোহাগাড়া থানার ওসি মো. রাশেদুল ইসলামের নেতৃত্বে এসআই সত্যজিৎ ভৌমিক ও সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্সদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ওসি মো. রাশেদুল ইসলাম জানান, গরুকে ভূষি খাওয়াকে কেন্দ্র করে বাবা-মেয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে মেয়ে তার বাবাকে দায়ের কোপে জখম করেন। তারপরই তার মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা এবং গ্রাম পুলিশ থানা পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতের মেঝ মেয়ে হুমায়রা তার বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছে। মেয়েকেও আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রামে প্রেরণ করা হবে এবং এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন