ফিলিস্তিনি মুসলমানদের ওপর ‘ইহুদিবাদী ইসরায়েলের আগ্রাসন, হত্যা, নিপীড়ন ও দখলদারিত্বের প্রতিবাদ এবং তাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের’ প্রতি সংহতি জানিয়ে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে হেফাজতে ইসলাম।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) জুমার পর নগরের আন্দরকিল্লা শাহি জুমা মসজিদ চত্বরে মাওলানা আলী ওসমানের সভাপতিত্বে এবং মাওলানা কামরুল ইসলাম কাসেমীর সঞ্চালনায় এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল আন্দরকিল্লা চত্বর থেকে শুরু হয়ে চেরাগী পাহাড় মোড় হয়ে জামালখান প্রেস ক্লাব পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে।
সমাবেশে হেফাজতের আমিরে আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, ইহুদিবাদী অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল ফিলিস্তিনি মুসলমানদের ওপর ভয়াবহ জুলুম চালাচ্ছে। ফিলিস্তিনিদের আবাসভূমি অবৈধভাবে দখল করে তাদের বাস্তুচ্যুত করে রেখেছে। একই সাথে তাদের ওপর ধারাবাহিক নিপীড়ন ও হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। ইজরাইল সরকার ফিলিস্তিনের গাজায় হাসপাতালে হামলা চালিয়ে শত শত বেসামরিক নাগরিককে হত্যার ঘটনায় আমরা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছি। আমরা এই বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় কঠোর নিন্দা এবং হতাহত মজলুমদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি। এটা শুধু মুসলিম নিপীড়নই নয়, বরং ভয়াবহ পর্যায়ের মানবতাবিরোধী অপরাধও।
তিনি আরও বলেন, পশ্চিমাদের প্রত্যক্ষ সমর্থনে ২৩ লাখ গাজাবাসীর ওপর ইজরাইল নিষ্ঠুর গণহত্যা চালাচ্ছে।
সুযোগ থাকলে ইহুদিবাদের বিরুদ্ধে জিহাদে শরিক হওয়ার আশা ব্যক্ত করে বাবুনগরী বলেন, আমাদের যদি সামর্থ্য থাকত, তাহলে মজলুম ফিলিস্তিনি মুসলমানদের সাথে মিলে ইহুদিবাদী জালেম ও অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জিহাদে আমরাও শরিক হতাম। কারণ, প্রথম কিবলা মসজিদুল আকসা মুক্ত করা মুসলমানদের ঈমানি দায়িত্ব। আমাদের যেহেতু সেই সুযোগ নেই, তাই আমরা তাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি সর্বাত্মক সংহতি ও সমর্থন প্রকাশ করছি।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন নায়েবে আমির আল্লামা লোকমান হাকিম, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মীর ইদরিস, কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক মুফতি মুহাম্মদ আলী কাসেমী, সহকারী আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন, মাওলানা এনামুল হক মাদানী, মাওলানা মঞ্জুরুল কাদের চৌধুরী, মাওলানা আতাউল্লাহ হোসাইনী, মুফতি হাসান মুরাদাবাদী, মাওলানা হাফেজ ফায়সাল, মাওলানা জালাল উদ্দিন, মাওলানা এরফান হালিম, মাওলানা জাকারিয়া মাদানী, মাওলানা এনায়েতুল্লাহ, মাওলানা শামসুল হক, মাওলানা কারি মুবিনুল হক, মাওলানা আসাদ উল্লাহ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন