চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে মো. আকিল হায়দার জিদান নামে এক ইন্টার্ন চিকিৎসকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত দুই ছাত্রলীগ নেতা হলেন- অভিজিৎ দাশ এবং ফয়েজ উল্লাহ। তাদের বিরুদ্ধে নগরের পাঁচলাইশ থানায় সাধারণ ডায়েরি করার পাশাপাশি চমেকের অধ্যক্ষ শাহেনা আক্তারের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছেন ইন্টার্ন চিকিৎক জিদান।
সোমবার (৯ অক্টোবর) পৃথকভাবে থানায় জিডি ও চমেক অধ্যক্ষ বরাবর এ চিঠি দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত ৮ অক্টোবর চমেক হাসপাতালে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে রোগী দেখাকে কেন্দ্র করে ওই দুই ছাত্রলীগ নেতা মিলে তাকে পিটিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন জিদান।
অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে পাঁচলাইশ থানার ওসি সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিস্তারিত ঘটনা তা তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা অভিজিৎ দাশ এখন কলেজ থেকে বহিষ্কৃত। গত ফেব্রুয়ারিতে কলেজ ছাত্রাবাসে তিন ছাত্রকে মারধরের অভিযোগে তাকে কলেজ থেকে তিন বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। ফয়েজ উল্যাহ ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি। তিনিও একসময় চমেক ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
থানায় জমা দেওয়া অভিযোগ এবং চমেক অধ্যক্ষের কাছে করা আবেদন থেকে জানা যায়, গত ৮ অক্টোবর রাতে চমেক হাসপাতালে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করছিলেন জিদান। এ সময় সময় ফয়েজ ও অভিজিৎ এসে তাদের এক রোগী দেখতে বলে। জিদান অন্য একজন রোগী দেখতে ব্যস্ত থাকায় কিছুক্ষণ পর তাদের রোগী দেখবে বলে জানায়। তখন তারা ক্ষিপ্ত হয়ে জিদানকে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করে। একপর্যায়ে বহিষ্কৃত অভিজিৎ দাশ শার্টের কলার ধরে দেওয়ালের সঙ্গে ধাক্কা দেয় এবং চড়থাপ্পড় দেয়। এ সময় তারা প্রাণনাশের হুমকিও দেন তাকে।
তবে মারধরের বিষয়টি বানোয়াট উল্লেখ করে অভিযুক্ত অভিজিৎ দাশ বলেন, সেদিন রাতে গাইনি ওয়ার্ডে গিয়েছিলাম আমরা। তবে মারধরের মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। পুরো বিষয়টি মিথ্যা। চাইলে হাসপাতালে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেক করতে পারেন। ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের (ইচিপ) সাবেক দুই নেতার ইন্ধনে জিদান আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে।
মন্তব্য করুন