চট্টগ্রামে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শোনা গেছে, ককটেল বিস্ফোরণের কথাও। এতে আহত হয়েছেন কয়েকজন পুলিশ সদস্য।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে নগরের চান্দগাঁও থানার বাহির সিগন্যাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
তাৎক্ষণিকভাবে সংঘর্ষের সুনির্দিষ্ট কারণ জানা না গেলেও, ধারণা করা হচ্ছে— নগর পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগের ব্যাটারিচালিত রিকশাবিরোধী সাঁড়াশি অভিযানের প্রতিক্রিয়ায় এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কোনো আনুষ্ঠানিক তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফতাব উদ্দিন কালবেলাকে বলেন, মারামারি এখনো চলছে, আপনার সঙ্গে কথা বলতে গেলে মার খাইতে হবে। আমাদের বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, চলতি এপ্রিল মাসেই চট্টগ্রাম নগরে ট্র্যাফিক পুলিশের অভিযানে ২৮৯৬টি ব্যাটারিচালিত রিকশা জব্দ ও ডাম্পিং করা হয়েছে। এমন অভিযানে খুশি সাধারণ মানুষ। তবে হঠাৎ শুরু হওয়া এমন ধরপাকড়ে ক্ষোভ জানিয়েছে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকেরা।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মাহমুদা বেগম কালবেলাকে জানান, মূল সড়কে দুর্ঘটনার বড় কারণ এই ব্যাটারিচালিত বাহনটি। এদের দৌরাত্ম্য কমাতেই অভিযান শুরু করা হয়েছে।
পুলিশের এমন তৎপরতায় খুশি নগরবাসী। তারা বলছেন, এসব রিকশার বেশিরভাগ চালক কম বয়সী আর অদক্ষ। এতেই ঝুঁকি বেড়েছে দুর্ঘটনার।
তবে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার মজুমদার কালবেলাকে বলেন, এসব অভিযানের ফল টেকসই হবে না। দীর্ঘমেয়াদি সুফল পেতে ব্যাটারি ও যন্ত্রাংশ আমদানির লাগাম টানতে হবে।
এদিকে আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রামের হালিশহর থানার সামনে বেপরোয়া গতির এক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক নিজে বাঁচতে যাত্রীসহ গাড়িটি খালে ফেলে দিয়েছেন। এ ঘটনায় কেউ আহত না হলেও খালে পড়া যাত্রীদের উদ্ধার করেছেন স্থানীয়রা।
মন্তব্য করুন