চট্টগ্রাম শহর কারও একার শহর নয়। নগরীতে জলাবদ্ধতা নিরসনে সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বির্জা খালে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এ উপলক্ষে নগরীর বাকলিয়ার ইছহাকের পুল এলাকার অছি মিয়া দোস্ত ভবনের মাঠে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে এক গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এর আগে, ময়লা-আবর্জনায় পূর্ণ চট্টগ্রাম নগরীর একটি খালের প্রাণ ফেরাতে পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেছে চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতে ইসলামী। এ সময় চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন সঙ্গে ছিলেন। জলাবদ্ধতা নিরসনে নগরীর বাকলিয়ায় বির্জা খাল পরিচ্ছন্ন করার জন্য জামায়াতের এ উদ্যোগ নিয়ে এলাকাজুড়ে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে।
জলাবদ্ধতা নিরসনে জামায়াতের উদ্যোগের প্রশংসা করে মেয়র শাহাদাত বলেন, গত ১৬ বছরে উন্নয়নের নামে চট্টগ্রামকে জলাবদ্ধতার নগরীতে পরিণত করা হয়েছে। আইন আইনের জায়গায় থাকবে। এখন থেকে আমরা কঠোর হবো। দুর্ভোগ থেকে রেহাই পেতে হলে আইনের সঠিক বাস্তবায়ন করতে হবে।
তিনি বলেন, আমি মেয়র হিসেবে শপথ নেওয়ার পর থেকে জলাবদ্ধতা নিরসনে সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার কথা বলে আসছি। চট্টগ্রাম কারও একার শহর নয়। সবার দেশের প্রতি যেমন ভালোবাসা থাকতে হবে, তেমনি নিজের শহরের প্রতিও ভালোবাসা থাকতে হবে। তাহলেই দেশ ও শহর সমৃদ্ধ হবে।
সভাপতির বক্তব্যে নগর জামায়াতের আমির শাহজাহান চৌধুরী বলেন, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনসহ সব ধরনের উন্নয়নে আমরা সিটি করপোরেশনকে সর্বোচ্চ সহায়তা করব। হিংসা, বিদ্বেষ, পরশ্রীকাতরতা ভুলে আমরা মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। মেয়র সাহেবকে বলবো- আমাদের কয়েকটা বাজারের দায়িত্ব দিন। সেই বাজারগুলোকে জামায়াতে ইসলামীর কর্মীরা চায়না শহরের মতো সুন্দর করে সাজিয়ে আপনাকে উপহার দিবে। পাশাপাশি ১০টি স্কুলে কাজ করার সুযোগ দিন। সেগুলোর আঙিনাসহ আশপাশের এলাকা জামায়াতের কর্মীরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে দেবে, ইনশাআল্লাহ।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিনের সঞ্চালনায় গণসমাবেশে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল করিম, চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার আই ইউ এ চৌধুরী, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী নায়েবে আমীর ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ ও মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার মানজারে খোরশেদ, ইঞ্জিনিয়ার মোমিনুল হক, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ উল্লাহ ও ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুস, সাংগঠনিক সম্পাদক, চট্টগ্রাম-১০ আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, চট্টগ্রাম-৯ আসনের জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ডা. এ কে এম ফজলুল হক, বাকলিয়া থানার আমির সুলতান আহমদ, নায়েবে আমির আবুল মনসুর, সেক্রেটারি নুর আহমদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কাজী হাসান বিন শামস্, ইঞ্জিনিয়ার ফাহমি, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি এসএম লুৎফর রহমান, নগর জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মমতাজুর রহমান, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, হামেদ হাসান ইলাহী, অধ্যক্ষ মাওলানা জাকের হোসাইন, আমির হোসাইন, আবু বকর ছিদ্দিক, ব্যাংকার এয়াকুব আলী, কোতোয়ালি থানা নায়েবে আমীর অধ্যাপক আবদুজ্জাহের, চকবাজার থানার নায়েবে আমির আবদুল হান্নান, কোতোয়ালী থানার সেক্রেটারি মোস্তাক আহমদ, চকবাজার থানার অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি শহিদুল্লাহ, কোতোয়ালি থানার অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আ ন ম জোবায়ের প্রমুখ।
মন্তব্য করুন