বর্তমানে যে পদ্ধতিতে বন্ড সিস্টেমের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে তাতে বেশকিছু সমস্যা রয়েছে বলে জানিয়েছেন- জাতীয় রাজম্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
তিনি বলেছেন, কাউকে সরকারি অফিসে যেতে হবে না। ঘরে বসে অটোমেশন সিস্টেমের মাধ্যমে মানুষ যেন বন্ড সেবা পায় সেজন্য কাজ চলছে। পাশাপাশি রিফান্ড দেওয়া-নেওয়ার মধ্যেও হয়রানি আছে। আমরা এটিও অটোমেশন করতে চাই।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত প্রাক বাজেটের আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এসময় তিনি বলেন, ভ্যাটের রিটার্ন ফ্রিকোয়েন্সি কমিয়ে দেব। অনলাইনে রিটার্ন দিলে সিল আনার পদ্ধতি বাতিল করেছি। ভ্যাট ও আয়করে অডিট সিলেকশনে ব্যক্তি জড়িত থাকবে না। কেউ প্রতারণা করতে পারবে না। কর প্রদান অনেক সহজ। কর দিতে কোনো ব্যাংকে যেতে হয় না। সরকারি কোষাগারে টাকা জমা সরাসরি হওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য রাজস্ব আহরণের চাপ বাড়ছে। জনগণের দাবি সঠিক জায়গায় ব্যয় করা। প্রান্তিক জনগণের কাছে আমরা সরকারের সেবা পৌঁছাতে পেরেছি। আমাদের যৌক্তিকভাবে কর বাড়াতে হবে। প্রতিবছরই বাজেট লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ে। তবে এবার তেমনটি হবে না। সিগনিফিকেন্ট বাজেট হবে।
চট্টগ্রাম চেম্বারের প্রশাসক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা সভাপতির বক্তব্যে বলেন, চেম্বারের সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচনের লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। চেম্বারের পক্ষ থেকে এনবিআরকে আয়কর বিষয়ে ১৯টি, ভ্যাটের ওপর ৪০টি ও শুল্কসংক্রান্ত ৫৫টি প্রস্তাব দিয়েছি।
এছাড়া মেট্রোপলিটন চেম্বার সভাপতি খলিলুর রহমান, চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি সরওয়ার জামাল নিজাম, চেম্বারের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি এরশাদ উল্লাহ, বিজিএমইএর সাবেক প্রথম সহসভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী, বেলাল আহমেদ, আমজাদ হোসেন চৌধুরী, রাঙামাটি চেম্বারের মামুনুর রশিদ, কক্সবাজার চেম্বার সভাপতি, বিএসআরএমের শেখর রঞ্জন, এফবিসিসিআইয়ের সদস্য মাহবুব রানা, মাকসুদুর রহমান, সালেহ আহমদ সোলাইমান, কর আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবু তাহের, সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি এসএম সাইফুল আলম, উইম্যান চেম্বার সভাপতি আবিদা মোস্তফা, মেট্রোপলিটন চেম্বারেরসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্য করুন