অমাবস্যা-পূর্ণিমার কারণে সাগর উত্তাল থাকায় জোয়ারের উচ্চতা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অনেক বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ নৌপথে ফেরি চালাতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। ফলে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপকূলে অন্তত ৭ ঘণ্টা আটকে ছিল ফেরি কপোতাক্ষ।
শনিবার (২৯ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে ফেরিটি সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া ঘাটের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা ছিল। এ লক্ষ্যে যাত্রী ও যানবাহন তোলা হলেও ফেরি ছাড়তে ৩টা বেজে যায়।
এর আগে সকাল সোয়া ৭টায় সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া ফেরিঘাট থেকে যানবাহন ও যাত্রী নিয়ে সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যায় ফেরি কপোতাক্ষ। ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ায় উভয় পাশে অর্ধশতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে।
ফেরির মাস্টার মো. শামসুল আলম কালবেলাকে বলেন, সাগর খুবই উত্তাল। জোয়ারের পানির উচ্চতা বেড়ে গেছে। ফলে বাঁশবাড়িয়া ঘাটে ফেরি থেকে নামার রাস্তা ডুবে গেছে। বাঁশবাড়িয়া থেকে আজ সকাল সোয়া ৭টায় সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া ফেরিঘাট থেকে যানবাহন ও যাত্রী নিয়ে সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। পরে সন্দ্বীপ থেকে বিকেল ৩টায় বাঁশবাড়িয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার জোয়ারের সময় সন্দ্বীপ থেকে বাঁশবাড়িয়া ঘাটে এসে বিপাকে পড়তে হয়েছিল। ফেরি থেকে নামার রাস্তা ডুবে যাওয়ায় প্রায় আড়াই ঘণ্টা যানবাহন ও যাত্রী নামানো যায়নি।
এদিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কর্মকর্তারা জানান, ফেরি চলাচলের জন্য বিআইডব্লিউটিএ ২৪ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত একটি সময়সূচি প্রণয়ন করেছে। তবে সাগর ক্রমেই উত্তাল হয়ে উঠায় এই সময়সূচি অনুযায়ী চালানো যাবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। ইতোমধ্যে এই বিষয়ে ঢাকায় একটি প্রতিবেদন পাঠিয়েছে সংস্থাটির চট্টগ্রাম কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।
বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক মো. কামরুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, বর্তমানে চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ রুটে যে চলছে তা এ অঞ্চলে চলাচলের উপযোগী নয়। জোয়ার-ভাটার হিসেবের কারণে ফেরি চালাতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। জোয়ার বেড়ে যাওয়ায় সংযোগ সড়কে পানি উঠে যাচ্ছে। আমাদের ৩১ মার্চ পর্যন্ত শিডিউল দেওয়া আছে। তবে সাগর উত্তাল হয়ে উঠছে। এ ফেরিঘাটের দুই পাশে থাকা আমাদের পন্টুগুলোর দাম তিন থেকে চার কোটি টাকা। বিরূপ আবহাওয়ার কারণে এগুলোর ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। আমরা এ বিষয়ে ঢাকায় একটি প্রতিবেদন পাঠিয়েছি।
মন্তব্য করুন