চট্টগ্রামে জোৎস্না বেগম নামে এক নারীকে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। স্বামী পরিচয়ে একসঙ্গে থাকা নয়ন বড়ুয়া জোৎস্নাকে হত্যার পর বস্তাবন্দি করে সড়কের পাশে ফেলে দিয়ে চলে যায়।
কর্মস্থলে পরিচয় সূত্রে তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। এক মাস ধরে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে দুজনে বসবাস করেন একটি ভাড়া বাসায়। বারবার তাগাদা দেওয়ার পরও বিয়ের নিবন্ধন করতে রাজি হচ্ছিলেন না নয়ন বড়ুয়া। ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ে করার চাপ ও লোকজনকে বলে দেওয়ার হুমকি দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই নারীকে গলাটিপে হত্যা করা হয়।
সোমবার (২৪ মার্চ) সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় পিবিআই। জানানো হয়, হত্যার পর গুম করতেই মরদেহটি কম্বল পেঁচিয়ে বস্তাবন্দি করে ফেলে রেখে যায় নয়ন।
এর আগে গতকাল রোববার বিকেলে চান্দগাঁও থানার মোহরা এলাকা থেকে নয়নকে গ্রেপ্তার করা হয়। নয়নের প্রথম স্ত্রী, দুই ছেলে সন্তান নিয়ে গ্রামে থাকেন। নয়ন রাউজান পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম গহিরা এলাকার জয় কুমার বাড়ির বাসিন্দা। তিনি একটি গার্মেন্টসের সুপারভাইজার পদে কর্মরত। জোৎস্না বেগমও সেখানে চকরি করতেন।
গত শনিবার বিকেলে নগরীর লালখান উড়াল সড়কের নিচে অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে জোৎস্নার লাশ উদ্ধার হয়। ওই দিনই লাশটি আঙুলের ছাপ যাচাইয়ের মাধ্যমে জোৎস্নার বলে শনাক্ত করে পিবিআই। এরপর নিহত জোৎস্নার বড় বোন তৈয়বা বেগম বাদী হয়ে খুলশী থানায় মামলা করেন।
মন্তব্য করুন