চট্টগ্রামের খুলশী থানাধীন জিইসি কুসুমবাগ আবাসিক এলাকায় ঈদ শুভেচ্ছা ব্যানার টাঙানো নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুজন গুলিবিদ্ধ ও একজন ছুরিকাহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২১ মার্চ) রাতে নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হালিম শাহ আলমের অনুসারী ও নগর ছাত্রদলের সদস্যসচিব শরিফুল ইসলামের অনুসারীদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
শাহ আলম বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদের অনুসারী এবং তুহিন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মীর হেলালের অনুসারী।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নগরীর জিইসি মোড় এলাকায় ঈদ শুভেচ্ছা ব্যানার টাঙানো নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে শুক্রবার সন্ধ্যায় দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এক পর্যায়ে দুটি পক্ষ কুসুমবাগ এলাকায় মুখোমুখি হয়। সেখানে উভয়পক্ষের গোলাগুলিতে গুলিবিদ্ধ হন দুজন। আরেকজনকে ছুরিকাঘাত করা হয়।
গুলিবিদ্ধ দুজন হলেন জিয়াদুর রহমান ও আনোয়ার হোসেন। তারা শাহ আলমের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। জিয়াদের শরীরে দুটি গুলি লেগেছে। অন্যদিকে ছুরিকাঘাতে আহত হন আনোয়ার হোসেন মোনা ও রমিজ দারোয়ান। তিনি শরিফুলের অনুসারী। আহতরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদিকে ঘটনার পর পুরো এলাকাজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ ঘটনায় খুলশী থানার ওসি মজিবুর রহমান কাওসারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ওইদিন রাতে সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ ওসি মুজিবুর রহমানকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
সিএমপি সূত্র জানিয়েছিল, খুলশী থানার ওসিকে মৌখিক প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ কালবেলাকে বলেন, বদলি একটি সাধারণ প্রক্রিয়া। যে কোনো সময় যে কাউকে প্রত্যাহার করা হতে পারে। খুলশী থানার ওসিকে প্রত্যাহার এবং কোতোয়ালি থানা পরিদর্শক (তদন্ত) আফতাব হোসেনকে দায়িত্ব বুঝে নিতে বলা হয়েছে।
সংঘর্ষের ঘটনায় দলের পক্ষ থেকে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান কালবেলাকে বলেন, আমাদের কেন্দ্রীয় পর্যায়ে নির্দেশনা আছে যে, জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া কারও কোনো ছবি দিয়ে ফেস্টুন, ব্যানার করা যাবে না। এটি যারা করেছে তা অমান্যকর। এ ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা তদন্ত করে আমাদের রিপোর্ট দিলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।
নাজিমুর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলা হয়েছে। যেহেতু এটি একটি অপরাধ সংগঠিত হয়েছে সেহেতু রাজনৈতিক বিবেচনা না করে পুলিশ অপরাধ হিসেবে দেখুক; এটি আমরা চাই। অন্যদিকে আমাদের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট হাতে এলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানতে চাইলে খুলশী থানার ওসি আফতাব হোসেন কালবেলাকে বলেন, এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। শাহআলম পক্ষ অভিযোগ দিয়েছে। তবে হেলাল পক্ষ এখনো দেয়নি।
মন্তব্য করুন