রাস্তার পাশে সাজানো ছোট্ট একটি টেবিল। তাতে থরে থরে সাজানো আলু, ছোলা, পেঁয়াজ, ডিমসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। পাশে বসে আছেন কয়েকজন তরুণ। কেউ এক কেজি প্লাস্টিক আনলে বিনিময়ে তারা তুলে দিচ্ছেন দেড় কেজি আলু, আধা কেজি পেঁয়াজ, আধা কেজি চিড়া, তিনটি ডিম ও আড়াইশ গ্রাম ছোলা।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজারের সামনে দেখা গেছে এমনই চিত্র।
নগরীর জলাবদ্ধতা ও প্লাস্টিক দূষণ রোধে ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগ নিয়েছে ক্লিন বাংলাদেশ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। আর এতে সহযোগিতা করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)।
এর আগে শুক্রবার সকালে ‘প্লাস্টিক দিন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস নিন’ স্লোগানে এই ব্যতিক্রমধর্মী ‘প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ কর্নার’ উদ্বোধন করেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
সংগঠনটি নগরীর চকবাজার, বহদ্দারহাট ও আগ্রাবাদ কাঁচাবাজারে একই ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে। রমজান মাসজুড়ে প্রতি শুক্র ও শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত নগরীর এই চারটি স্থানে এ কার্যক্রম চলবে।
সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা শওকত হোসেন জনি বলেন, এই শহর আমাদের সবার। একে বাঁচানোর দায়িত্বও আমাদের। শহরকে প্লাস্টিক ও পলিথিনমুক্ত করতে আমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় ক্লিন বাংলাদেশ এভাবে নগরীর প্রতিটি পয়েন্টে চালু রাখার চেষ্টা থাকবে।
তিনি বলেন, আমরা চেয়েছি সমস্যার একটি কার্যকর সমাধান দিতে, যেখানে পরিবেশ রক্ষা ও মানবিক সহায়তা একসঙ্গে করা যায়। তাই ‘প্লাস্টিক আনুন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নিন’ এই ধারণা নিয়ে আমরা এ উদ্যোগ নিয়েছি। এটি শুধু প্লাস্টিক দূষণ রোধ করবে না, বরং নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য রমজানের সময় সহায়তা হিসেবে কাজ করবে।
সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ক্লিন বাংলাদেশের উদ্যোগটি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে। পাশাপাশি ‘ক্লিন সিটি, গ্রিন সিটি, হেলদি সিটি’ বাস্তবায়নে এবং প্লাস্টিক ও পলিথিনের ফলে জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করবে এ উদ্যোগ। সামনে ক্লিন বাংলাদেশ সংগঠনকে নিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ডে ভ্রাম্যমাণ প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ কর্নার চালু করা হবে।
মন্তব্য করুন