সাম্প্রতিক সময়ে সারা দেশব্যাপী ধর্ষণের মাত্রা যে পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে, তা শুধু উদ্বেগজনক নয় বরং এটা নারী উন্নয়ন ও নারীর অগ্রযাত্রার পথে বড় ধরনের অন্তরায়। পূর্বের নারী ও শিশু ধর্ষণের যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, সেগুলোর সত্যিকারের ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারলে বর্তমানে চলমান ধর্ষণ ঘটনাগুলো না ঘটার সম্ভাবনা খুব বেশি থাকত। কিন্তু অতীতের বিচারহীনতার কারণে বর্তমানে এই অপরাধের সংখ্যা বেশি হচ্ছে। ন্যায় বিচারের স্বার্থে ধর্ষণকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারলে শিশু ধর্ষণের পরিমাণ কমবে না, বরং দিন দিন বৃদ্ধি পাবে।
বুধবার (১২ মার্চ) চট্টগাম নগরীর ইপসার কার্যালয়ে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন মামলাসমূহের ন্যায়বিচার : প্রত্যাশা ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ইপসা কর্তৃপক্ষ।
ইপসা’র প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ আরিফুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. মফিজুল হক ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন ক্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি এসএম নাজের হোসাইন। সভায় ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন ইপসা’র প্রোগ্রাম অফিসার সেতারা রুদ্র।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট মো. মফিজুল হক ভূঁইয়া বলেন, সব উন্নয়ন সংস্থাগুলোকে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে একসঙ্গে হয়ে একটি একটি বিষয় নিয়ে কাজ করতে হবে। একসঙ্গে সব সংস্কার না করে পৃথক বিষয় নিয়ে কাজ করা শুরু করলে ধীরে ধীরে বদলাবে সবকিছু। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। ধর্ষণ ও ধর্ষককে সামাজিকভাবে ঘৃণা করতে হবে। এখানে পারিবারিক ও সামাজিক শিক্ষা খুব বেশি জরুরি।
ইপসা’র উপ-পরিচালক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় ধারণাপত্রের ওপর বক্তব্য রাখেন ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরাম-বিবিএফ -এর প্রধান নির্বাহী উৎপল বড়ুয়া, ব্র্যাক -এর বিডিসি এনামুল হাছান, স্বপ্নীল ব্রাইট ফাউন্ডেশন প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ আলী শিকদার, অপরাজেয় বাংলাদেশ -এর চট্টগ্রামের প্রধান সমন্বয়কারী জিনাত আরা বেগম, সংশপ্তক -এর লিটন চৌধুরী, ইপসা’র পরিচালক (কেএমফরডি) মোহাম্মদ শাহজাহান, পরিচালক (সমাজ উন্নয়ন) নাছিম বানু শ্যামলী এবং ইপসা’র সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আলী শাহীন।
মন্তব্য করুন