পবিত্র মাহে রমজানে এক টাকায় ২১ রকমের পণ্য কিনতে পেরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে ৫০০ পরিবার। দেখা গেছে, এক টাকার বাজারে ঘুরে ঘুরে হাজার টাকার পণ্য কিনছেন তারা।
সোমবার (১০ মার্চ) সকালে নগরীর দুই নম্বর গেইট বিপ্লব উদ্যানে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সহায়তায় ‘এক টাকায় রোজার বাজার’ কর্মসূচির আয়োজন করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। বাজারের উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
বাজারে ২১টি পণ্যের স্টল ছিল, যেখানে চাল, ছোলা, ডাল, তেল, ডিমসহ ২১ রকমের পণ্যের সবই রয়েছে। এক কেজি চাল এক টাকা, এক কেজি ছোলা দুই টাকা, এক ডজন ডিম দুই টাকা, এক লিটার তেল ৪ টাকা ও একটি মুরগি ৬ টাকায় মিলছে।
এক টাকার কয়েন জমা নিয়ে দেওয়া হয় ২০ টাকার কুপন। সেই কুপন দিয়ে কেনাকাটা করেন সবাই। বাজারের পদ্ধতি বুঝিয়ে দিতে দায়িত্বে থাকা স্বেচ্ছাসেবীরা তাদের সহযোগিতা করেছেন; বলছিলাম চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘এক টাকায় রোজার বাজার’ কর্মসূচির কথা। দ্রব্যেমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে মাত্র এক টাকায় হাজার টাকার রোজার বাজার করছেন ৫০০ পরিবার।
এদিন সকালে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নিম্ন আয়ের মানুষজন উৎসবমুখর পরিবেশে তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বাজার করেন। চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত বলেন, ‘বিদ্যানন্দের আজ এ এক টাকায় রোজার বাজারে এসে আমার মনে হচ্ছে শায়েস্তা খার আমল ফিরে এসেছে। অভাবী মানুষজন এখান থেকে এক টাকা মূল্য পরিশোধ করে হাজার টাকার অধিক পণ্য বাছাই করার স্বাধীনতা পাচ্ছে। এ আইডিয়া অভাবনীয় প্রশংসার দাবি রাখে। বিদ্যানন্দ থেকে দেখে যদি সমাজের অন্যান্য বিত্তবানরা মানুষের পাশে এগিয়ে আসেন তাহলে এ রমজানে মানুষ কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন বলে আমি বিশ্বাস করি’।
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক জামাল উদ্দিন বলেন, ‘রমজান মাসকে বলা হয় সহমর্মিতার মাস। কেননা এক মাসের রোজা পালনের মধ্যে দিয়ে একজন রোজাদার ক্ষুধার্ত মানুষের কষ্ট উপলব্ধি করতে সক্ষম হন। এর ফলে তার অন্তরে আর্তপীড়িত ও ব্যথিত মানবগোষ্ঠীর প্রতি সহমর্মিতা জাগে। রোজাদারের উচিত তার এ জাগ্রত সহানুভূতিকে কাজে লাগানো। বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন ও তার স্বেচ্ছাসেবী দাতারা সে কাজটি বছরের পর বছর করে যাচ্ছে। এ বাজারে ৫০০ দরিদ্র পরিবার এক টাকা দিয়ে কমপক্ষে ১,০০০ টাকার নিত্যপণ্য কিনতে পেরেছেন, যা তাদের এ দুঃসময়ে একটু হলেও স্বস্তি নিয়ে আসবে বলে আমাদের বিশ্বাস’।
মন্তব্য করুন