শুক্রবার, ০৭ মার্চ ২০২৫, ২৩ ফাল্গুন ১৪৩১
নূর হোসেন মামুন, চট্টগ্রাম
প্রকাশ : ০৬ মার্চ ২০২৫, ০৯:৫০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
ঈদের কেনাকাটা

শপিংমল-দোকানে বাড়ছে ভিড়, পাকিস্তানি-দেশীয় পণ্যে আকর্ষণ

চট্টগ্রামের বিকেল থেকে ইফতারের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত হকার্স মার্কেটে বাড়ে ক্রেতাদের সমাগম। ছবি : মোহাম্মদ সুমন
চট্টগ্রামের বিকেল থেকে ইফতারের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত হকার্স মার্কেটে বাড়ে ক্রেতাদের সমাগম। ছবি : মোহাম্মদ সুমন

কেবল গেল ৫ রমজান, ঈদ এখনো পড়েই রয়েছে। কিন্তু এর আগেই জমে উঠেছে চট্টগ্রামে ঈদের বেচাকেনা। ভিড় বাড়ছে শপিংমল, বিপণিবিতান ও দোকানগুলোতে। মূলত ঈদের আগে ঝক্কি-ঝামেলা এড়াতেই বাজারমুখী হচ্ছেন ক্রেতারা। ইফতারের পর থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত নারী-পুরুষের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে কাপড়-জুতার দোকানে।

চট্টগ্রামের কাপড়ের পাইকারি বাজার ‘টেরিবাজারে’ ইতোমধ্যে ৬০ শতাংশ শেষ হয়েছে বেচাকেনা। আর নিউ মার্কেট, জহুর হকার্স মার্কেট, তামাকুমন্ডি লেইন, বিপণিবিতানগুলো চলছে এখন খুচরা পণ্য বিক্রি। তবে সন্ধ্যার পর মানুষ নামলেও বেচাকেনা এখনো প্রত্যাশিত নয় বলে জানিয়েছেন দোকানিরা। রোজা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভালো বিক্রির আশা তাদের।

এবার শতকোটি টাকার বেচাকেনা হওয়ার প্রত্যাশা করছেন টেরিবাজারের ব্যবসায়ীরা। একই আশা নিউ মার্কেট, জহুর হকার্স মার্কেট, তামাকুমন্ডি লেইনের ব্যবসায়ীদেরও।

তবে এবার পণ্যের দামে হতাশ ক্রেতারা। তারা বলছেন, যেই জামা গত বছর দেড় হাজার টাকা ছিল- এবার তা বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ দামে। রমজান শুরুর প্রথম দিক, এই কারণেই হয়ত দাম ছাড়তে চাইছে না দোকানিরা। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান কাপড়ের দোকানেও চালানো দরকার। না হয়, ঊর্ধ্বমুখীর এই নাভিশ্বাসের বাজারে অতিরিক্ত মূল্যের কারণে নষ্ট হয়ে যাবে সাধারণ মানুষের ঈদ আয়োজন। পাশাপাশি বর্তমানে যেই হারে চুরি-ছিনতাই বেড়েছে, ঈদ বাজারকে হয়ত টার্গেটে রেখেছে তারা। তাই মার্কেটগুলোর পাশাপাশি এর আশপাশের অন্ধকার সড়কেও নিরাপত্তা জোড়দার করা দরকার।

সরেজমিনে দেখা যায়, ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার বাসিন্দা সুরুজ মিয়া (৫০)। চট্টগ্রাম নগরীতে রিকশা চালান তিনি। ঈদ করবেন পরিবার-পরিজনের সঙ্গে। বাড়িতে দুই ছেলে এক মেয়ে এবং স্ত্রীসহ আছেন বৃদ্ধ বাবা। নগরীর নিউমার্কেটের সামনে ফুটপাতে ভ্যানে বিক্রি হচ্ছে কাপড়। সেখান থেকে পরিবারের সদস্যদের জন্য কেনাকাটা করছেন সুরুজ। তিনি বলেন, ‘মার্কেটগুলোতে কাপড়ের দাম বেশি। ফুটপাতে কম টাকায় কেনাকাটা করা যায়। এ কারণে নিজের এবং স্বজনদের জন্য কেনাকাটা এই ফুটপাত থেকে সেরে নিচ্ছি।’

সুরুজ মিয়ার মতো ফুটপাতগুলোতে কেনাকাটাও বাড়ছে। নগরীর ফুটপাতগুলো যেন নিম্ন আয়ের মানুষের পাশাপাশি নিম্ন মধ্যবিত্তদের কেনাকাটার স্থল হয়ে উঠেছে। নগরীর নিউমার্কেটের সামনে ফুটপাতের বাইরেও হকাররা কাপড়ের পসরা সাজিয়ে বসেছেন সড়কের ওপর। সেখানে বিক্রি হচ্ছে থ্রি পিস, শার্ট, প্যান্ট, শাড়ি, লুঙ্গি, পাঞ্জাবি, বাচ্চাদের কাপড়, টুপি, আতর, জুতাসহ বিভিন্ন ধরনের পোশাক। ২০০ থেকে হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে এসব কাপড়।

নিউমার্কেটের সামনে ফুটপাতে ভ্যানে করে কাপড় বিক্রি করা কবির হোসেন বলেন, ‘অনেকেই মনে করেন ফুটপাতে মানহীন কাপড় বিক্রি হয়। এই ধারণা একেবারেই ঠিক নয়। এখানে ভালো মানের কাপড়ও পাওয়া যায়। ফুটপাতে মালামাল বিক্রি করতে প্রশাসন এবং কিছু রাজনৈতিক পরিচয়ধারীদের দৈনিক হিসেবে চাঁদা দিতে হয়। এরপরও ফুটপাতে দোকান বসাতে খরচ কম পড়ে। যার কারণে কম টাকায় কাপড় বিক্রি করা যায়।’

ফুটপাতের বাইরেও টেরিবাজার, নিউ মার্কেট, জহুর হকার্স মার্কেট, তামাকুমন্ডি লেইনে সন্ধ্যার পর মানুষের ভিড় বেড়ে যায়। তবে বিক্রেতারা বলছেন, গতবারের তুলনায় বেচাবিক্রি অনেকটা কম। এখন কেবল শুরু। ঈদ যত ঘনিয়ে আসবে, বেচাকেনা অতটা জমে উঠবে।

এসব মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, এখানে পাঞ্জাবি ২৫০ থেকে ১,৫০০ টাকার মধ্যে, একইভাবে জিনস, গ্যাবাডিন প্যান্ট ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, জুতা ১৫০ থেকে ১,৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাচ্চা ও মেয়েদের পোশাক ১০০ থেকে ১,৫০০ টাকা, ভ্যানিটি ব্যাগ ২০০ থেকে ৭০০ টাকা, স্যান্ডেলের দাম ৩০০ থেকে ১ হাজার টাকাও ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এবারের বাজারে দেশীয় পোশাকের পাশাপাশি নিত্যনতুন বিদেশি পোশাকের হাতছানি সবখানে। প্রসিদ্ধ শপিং মলের দোকানগুলোতেও এসেছে নতুন নতুন কালেকশন। গরমকে প্রাধান্য দিয়ে ডিজাইনে আনা হয়েছে নতুনত্ব। বেশিরভাগ পোশাক রাখা হয়েছে সুতি কাপড়ের।

বিক্রেতারা জানান, এবার নতুন নতুন ডিজাইন ও বাহারি দেশীয় কাপড়ের পাশাপাশি ভারতীয় ও পাকিস্তানি থ্রি-পিস এনেছেন তারা। ভারতীয় ও পাকিস্তানি থ্রি-পিসের মধ্যে হিরামন ডি, আলিয়াকার্ট, বিন হামিন, তাওয়াক্কাল, নোরা, ইন্দু ওয়ের্স্টান, নায়রা, গারারা ও সারারা অন্যতম।

মেগামার্টের পরিচালক রেজাউল করিম মিতু বলেন, ঈদ উপলক্ষে ক্রেতাদের চাহিদার দিকটা মাথায় রেখে এবার বিদেশ থেকে কাতান, লিলেন, জামদানি, সুতি, নেট, জর্জেট, শিপন ও ডিজিটাল প্রিন্টের হরেক রকম কাপড় আমদানি করা হয়েছে। এখনও বেচাবিক্রি কম। তবে ঈদের আগে বাড়বে। ছেলেদের জন্য থাকছে পাঞ্জাবি, কাবলি সেট, সিঙ্গেল পিস কাবলি, ক্যাজুয়াল শার্ট, ফরমাল শার্ট, টি-শার্ট, পোলো শার্ট, ফতুয়া, কাতুয়া ও পায়জামা ইত্যাদি। বরাবরের মতোই সারার ঈদ আয়োজনে গুণগতমান ও ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার বিষয়টি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।

এবার গত বছরের তুলনায় কাপড়ের দাম অনেক বেশি বলে অভিযোগ করছেন ক্রেতারা। বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে ঈদের উপহার দিতে কেনাকাটা করতে বালি আর্কেড শপিংমলে এসেছেন কলেজছাত্রী সোনিয়া শারমিন। তিনি বলেন, রমজানের শুরুতে ভিড় কম থাকে। তাই কেনাকাটা করতে আসলাম। কয়েকটি ড্রেস দেখে দুটি আলিয়াকার্ট থ্রিপিস কিনেছি। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রতিটি থ্রিপিসের দাম ২-৩ হাজার টাকা বেশি বলে মনে হয়েছে।

পোশাকের দাম বাড়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন বিক্রেতারাও। তাদের দাবি, গত বছরগুলোর তুলনায় এবার প্রতিটি পোশাকের দাম ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ বেশি।

তামাকুমন্ডি লেইন বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক কালবেলাকে বলেন, গতকাল পর্যন্ত সন্ধ্যার পরপরই মার্কেটে মানুষের ভিড় দেখা যায়। কিন্তু বেচাকেনা ঠিক সেভাবে এখনও জমে উঠেনি। আশা করি আর ক’দিন গেলে বেচাবিক্রি ভালো হবে সবার। তবে এবার নতুন নতুন অনেক ডিজাইনের পণ্য এসেছে। দামে কম ও সাধ্যের মধ্যে থাকায় মানুষের প্রথম পছন্দের তালিকায় চট্টগ্রামের নিউ মার্কেট। এবারও ঠিক তেমনটাই হবে বলে আশা করি।

দেশি-বিদেশি থান কাপড়ের জন্য বিখ্যাত শত বছরের পুরোনো টেরিবাজার। এখানে ছোট-বড় প্রায় আড়াই হাজার কাপড়ের দোকান রয়েছে। শপিংমল রয়েছে অন্তত ৮০টি। চাহিদা অনুযায়ী সব ধরনের দেশি কাপড় পাওয়া যায়; তাই পাইকারি ক্রেতারা যুগ যুগ ধরে ছুটে আসেন এখানে। ঈদের এক মাস আগ থেকে শাড়ি, লুঙ্গি, থ্রিপিস, শার্টপিস, প্যান্টপিসসহ গজ কাপড় কিনতে আসেন দেশের নানা প্রান্তের খুচরা বিক্রেতারা। ঈদকে ঘিরে কুমিল্লা, নোয়াখালী, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের খুচরা ব্যবসায়ীদের ভিড় জমানো। এবার ঈদে বিক্রির জন্য ভারত, পাকিস্তান, চীন, থাইল্যান্ড থেকেও ব্যবসায়ীরা কাপড় এনেছেন।

টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল মনসুর কালবেলাকে বলেন, ব্যবসায়ীরা এবারও ভালো প্রস্তুতি নিয়েছেন। এখন পর্যন্ত বেচাকেনা আশানুরূপই হচ্ছে। আমাদের বাজারটা মূলত শুরু হয় শবেবরাতের পর থেকেই। ১০-১৫ রমজান পর্যন্ত এই পাইকারি বেচাকেনা চলবে। এবার শতকোটি টাকার বেচাকেনা হবে বলে আমরা আশাবাদী।

তিনি আরও বলেন, ভারতীয় পণ্য বা ডিজাইনের যে আধিপত্য ছিল, তা এখন আর নেই। পাকিস্তান থেকে কিছু পণ্য এসেছে, তবে তা বড় আকারের নয়। কিন্তু পাকিস্তানি পণ্যের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ রয়েছে। ভারতবিদ্বেষের কারণে সেখান থেকে তেমন পণ্য আসেনি। এ ছাড়া বর্তমানে দেশের টেক্সটাইল খাত অনেক উন্নত। তাই ভারতীয় ডিজাইন ও কোয়ালিটির সঙ্গে টেক্কা দিয়ে দেশি কোম্পানিগুলো ভালো ভালো কাপড় তৈরি করছে। দেশি কাপড়েরও যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। ছিনতাইকারীদের দমনসহ এসব অপরাধ রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে ২০ জনের বেশি নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে সরেজমিন চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নগরীর সবগুলো শপিং মলগুলো বিভিন্ন রঙিন আলোয় সজ্জিত করেছেন মার্কেট কমিটি। নগরীর অভিজাত শপিং মল হিসেবে পরিচিত সানমার ওশান সিটি, চকবাজার বালি আর্কেড, দুই নম্বর গেট ফিনলে স্কয়ার, আফমি প্লাজা, মিমি সুপার মার্কেট, জিইসি ইউনেস্কো সিটি সেন্টার, খুলশি কনকর্ড টাউন সেন্টার, লালখান বাজারের আমিন সেন্টার, আগ্রাবাদ আখতারুজ্জামান সেন্টার, ইপিজেড বে শপিং সেন্টারসহ বিভিন্ন মার্কেট ঈদকে ঘিরে বর্ণিল সাজে সজ্জিত করা হয়েছে। বিভিন্ন মার্কেট ক্রেতা আকর্ষণ করতে কর্তৃপক্ষ র‌্যাফেল ড্র’র মাধ্যমে আকর্ষণীয় পুরস্কার ঘোষণা করছে।

সিঙ্গাপুর ব্যাংকক মার্কেট দোকান মালিক ব্যবসায়ী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান কালবেলাকে বলেন, দেশের পরিস্থিতির কারণে ব্যবসার অবস্থা খারাপ। আগে ১০ লাখ টাকার মাল তুললে এবার তা অর্ধেকে এসে পৌঁছেছে। আবার দ্রব্যমূল্যসহ জীবনযাত্রায় ব্যয় বেড়েছে বহুগুণ। মানুষের আয়ের চেয়ে ব্যয় বেড়ে গেছে। উৎপাদন খরচ বাড়ায় এসব কাপড়ের দাম বাড়তি। অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে বেচাকেনাও কমে গেছে। সেই হারে পণ্যের দামও বেশি। তবে রমজান বাড়তে বাড়তে বেচাকেনা বাড়বে বলে আশা করি।

দুই নম্বর গেট ফিনলে স্কয়ার ওমেন্স ফেয়ারের বিক্রয় কর্মকর্তা সাইফ আহমেদ কালবেলাকে বলেন, ডলারের দাম বেশি হওয়ার প্রভাবেই মূলত পোশাকের দাম বেড়ে গেছে। তবে আমাদের মুনাফা কম হলেও আমরা ক্রেতা সন্তুষ্টির ওপর বেশি জোর দিচ্ছি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রিজওয়ানা হাসান / ঐক্যের ডাক দেয়া সহজ, কিন্তু ঐক্য প্রতিষ্ঠা সহজ নয়

বেসরকারি খাতের বিদেশি ঋণ ৪ বছরে সর্বনিম্ন

শিল্প প্রতিষ্ঠানের রাসায়নিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে ববি উপাচার্যের সৌজন্য সাক্ষাৎ

জুলহাসের স্বপ্ন পূরণ করতে চায় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স

পরীমনির সাবেক স্বামী সৌরভ গ্রেপ্তার

এশিয়ান নারী কাবাডি চ্যাম্পিয়নশিপ সকালে হার, বিকেলে জয় বাংলাদেশের

ঢাকায় এসে রোজা রাখার সিদ্ধান্ত জাতিসংঘ মহাসচিবের

একটি গোষ্ঠী মব জাস্টিসের নামে বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে : আমিনুল হক 

উপদেষ্টাদের মধ্যে কেউ কেউ বিএনপিবিদ্বেষী : রিজভী 

১০

এবার যুদ্ধে যেতে প্রস্তুতির কথা জানাল যুক্তরাষ্ট্র

১১

ইমনের শতক, বাবুর ঝোড়ো ইনিংসে জয়ে ফিরল আবাহনী-মোহামেডান

১২

বাংলাদেশের ভাগ্য নির্ধারণ করবে জনগণ : ফখরুল

১৩

নবম রাউন্ডে তাহসিন ও নীড়ের ড্র

১৪

এনসিপি থেকে আরও দুই নেতার পদত্যাগ

১৫

বেতাগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স / ডেন্টিস্ট ও সেকমো দিয়ে চলছে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা

১৬

সাভারে ছাত্রদল নেতার বাড়িতে হামলার অভিযোগ

১৭

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৪ নেতা বহিষ্কার

১৮

বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যয় কমাতে গিয়ে উল্টো গচ্চা ৮ কোটি!

১৯

রমজানে বৃষ্টিতে ভিজল কাবা

২০
X