সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম
প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০২৫, ১০:৩৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

চসিকের সেই বিতর্কিত প্রকৌশলীর পদোন্নতি পরীক্ষা নিয়ে ধূম্রজাল

ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স
ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সেই বির্তকিত প্রকৌশলীসহ ১৮ জনের পদোন্নতি পরীক্ষা হওয়ার কথা আজ বৃহস্পতিবার। এটি ঘিরে নানা প্রশ্ন দেখা দিলেও পছন্দের প্রার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করানোর অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী দোসর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এতে শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের দায়ে একজনকে বদলিও করা হয়।

এর আগে বুধবার (৫ মার্চ ) দৈনিক কালবেলায় শেষ পাতায় ‘চসিকের প্রকৌশলীদের পদোন্নতি ঘিরে অসন্তোষ’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে নড়েচড়ে বসে চসিক প্রশাসন।

অভিযোগ আছে, নিয়মতান্ত্রিকভাবে চাকরিতে সময়ের মধ্যে স্থায়ী না হওয়ার কারণ দেখিয়ে কয়েকজনকে বাদ দেওয়া হয়েছে, যার কোনো বিধিমালা নেই। শুধু পছন্দের কর্তাদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করানো হয়েছে। এদের কয়েকজন গত সরকারের সঙ্গে আতাত করে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বেও ছিলেন। তবে সেই মৌখিক পরীক্ষা আদৌ হবে কি না এখনো নিশ্চিত নয় বলে জানান চসিকের অনেকেই। বিষয়টা মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন নিজেই গুরুত্বসহকারে দেখছেন বলেও জানা গেছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সচিব আশরাফুল আমীন কালবেলাকে বলেন, বিধি ও নিয়ম মেনেই এ আদেশ দেওয়া হয়েছে। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে পদোন্নতি কমিটিই বিবেচনা করবে। আগে থেকেই প্রকৌশল বিভাগে পদোন্নতি ঘিরে ক্ষোভ-অসন্তোষ লেগে আছে। যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও পদোন্নতির জন্য নির্ধারিত তালিকায় অনেকের নাম না থাকায় উঠেছে নানা প্রশ্ন।

চসিক সূত্রে জানা যায়, ‘মৌখিক সাক্ষাৎকারে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ’ শীর্ষক একটি চিঠি গত সোমবার সংশ্লিষ্টদের দেওয়া হয়েছে। এতে ৬ মার্চ পদোন্নতির জন্য মৌখিক সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হবে বলে জানান প্রধান নির্বাহী নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ তৌহিদুল আলম।

জানা যায়, পদোন্নতির তালিকায় থাকা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহীন উল ইসলামকে ৫ আগস্টের পর নানা অনিয়মের অভিযোগে বরিশালে বদলি করা হয়। আরেক সহকারী প্রকৌশলী (দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী) মো. শাহীন উল ইসলামকে শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যক্রমের অভিযোগে তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় ২০১৭ সালে। আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা বিতর্ক।

চসিক সূত্র এবং খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চসিকের প্রকৌশল বিভাগের সিভিল শাখায় বর্তমানে চারজন নির্বাহী প্রকৌশলী কর্মরত আছেন। কিন্তু পদোন্নতির নিমিত্তে মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাক পড়েছে একজনের। বাকি তিনজনই সহকারী প্রকৌশলী পদে ৮ বছর ১০ মাস ধরে কাজ করেছেন। অনেকেরই অভিযোগ, তদবির এবং ‘আওয়ামী দোসর কানেকশন’ তকমা মুছতে শীর্ষ পদের কেউ এসব কাণ্ড করছেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

টাকা না দেওয়ায় ঘরে আগুন লাগিয়ে দিল ছেলে

বিশ্বের ব্যস্ততম বিমানবন্দর হয়ে উঠল দুবাই

৪৬১৫ রাজনৈতিক, হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারে সুপারিশ

গাজার ধ্বংসস্তূপে মিলল আরও মরদেহ, নিহত সাড়ে ৪৮ ছুঁইছুঁই

আজ কেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া

এআইইউবিতে ১৫তম বাংলাদেশ ফিজিক্স অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত

সামাদের পরিবারের দায়িত্ব নিলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

০৬ মার্চ : ইতিহাসের এই দিনে যা ঘটেছিল

০৬ মার্চ : আজকের নামাজের সময়সূচি

সাবেক এমপি আফতাব গ্রেপ্তার

১০

‘সরকারি যানবাহন সিগন্যাল অমান্য ও উল্টোপথে গেলেই মামলা’

১১

নর্থ সাউথের ঘটনায় সারজিসের ফেসবুক স্ট্যাটাস

১২

১০ জন নিয়েও বার্সার দাপুটে জয়

১৩

গাবতলীর শাহী মসজিদ বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে

১৪

মুশফিককে নিয়ে তামিমের আবেগঘন ভিডিওবার্তা

১৫

জবিতে মধ্যরাতে ছাত্রীদের বিক্ষোভ

১৬

একটি গোষ্ঠী স্বৈরাচারী মনোভাব নিয়ে কথা বলছে : আমিনুল হক

১৭

আধা ঘণ্টার ব্যবধানে প্রক্টর অফিস থেকে মিল্টন-জন উধাও

১৮

ওয়ানডে অধ্যায়ের ইতি টানলেন মুশফিক

১৯

রাজশাহীর ইফতারে শাহী ফিরনি ও বাটার মোড়ের জিলাপি

২০
X