চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) দুটি প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগে সংস্থাটির কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রাথমিকভাবে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছেন অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া দুদক সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক সাইয়্যেদ মুহাম্মদ ইমরান।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দুদক সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১ এর চার সদস্যের একটি টিম সিডিএ ভবনে এ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় তারা প্রকল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন নথিপত্র সংগ্রহ করেন। প্রকল্প দুটি হলো, শহীদ ওয়াসিম আকরাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও চট্টগ্রাম আউটার রিং রোড প্রকল্প।
দুদক সূত্রে জানা যায়, শহীদ ওয়াসিম আকরাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের বিষয়ে অভিযোগ ছিল- নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই ফাটল দেখা দেওয়া, যেখানে সেখানে র্যাম্প নির্মাণ, র্যালিংয়ের নাট-বল্টু সঠিকভাবে না লাগানো, প্রয়োজনের অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম আউটার রিং রোড প্রকল্পের বিষয়ে অভিযোগ ছিল-চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাতজন নিজস্ব কর্মকর্তা এই প্রকল্পে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে নিয়মবহির্ভূতভাবে ৪০ শতাংশ বেতন ভাতা গ্রহণ।
এ বিষয়ে সাইয়্যেদ মুহাম্মদ ইমরান বলেন, আমরা দুইটি প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করি। আউটার রিং রোড প্রকল্পে সিডিএর সাতজন কর্মকর্তার ৪০ শতাংশ বেতন নেওয়ার প্রমাণ পেয়েছি। প্রকল্প পরিচালককে আমরা পাইনি। ডিপিডি রাজিব সাহেবকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। কিন্তু তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। সিডিএর সচিব স্বীকার করেছেন এখানে কিছু অনিয়ম আছে।
আর এক্সপ্রেসওয়ের ফাটলের বিষয়ে তারা স্বীকার করেছেন। পরে তারা বুয়েট ও এমআইএসটি থেকে বিশেষজ্ঞ এনে দেখিয়েছেন। তারা এটাকে ব্যবহারের উপযোগী বলে মত দিয়েছেন। যে তিনটা পিলারে ফাটল ছিল সেগুলো সিল করে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই দুইটি প্রকল্প সংক্রান্ত বেশকিছু নথি সংগ্রহ করেছি৷ কিছু নথি পাইনি, সেগুলো কালকের মধ্যে দিতে বলেছি। নথি পেলে আমরা কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দেব।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিডিএর সচিব রবীন্দ্র চাকমা জানান তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে অথরাইজড নন।
মন্তব্য করুন