চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ডিসি পার্কে পার্কিং নিয়ে কথা কাটাকাটির ঘটনায় বন্দর লরিচালক, স্থানীয় ও আনসারদের ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে পার্কে ব্যাপক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় বেড়াতে আসা বেশ কিছু দশনার্থীসহ শতাধিক লোক আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বিএম কনটেইনার ডিপোর একটি লরির ড্রাইভারের সঙ্গে ডিসি পার্কের পার্কিংয়ে দায়িত্ব থাকা এক ব্যক্তির গাড়ি রাখার বিষয় নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। এ সময় পার্কিয়ে দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা লরির ড্রাইভারের গাড়ির কাগজপত্র নিয়ে নেয়। তখন ডিসি পার্কে থাকা সীতাকুণ্ড উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনাটি মীমাংসা করার চেষ্টা করেন। লরিচালক মীমাংসার বিষয়টি না মেনে আরও কিছু লোকজন নিয়ে অতর্কিত ফুল উৎসবে হামলা চালায়। পরে স্থানীয়রা ও ডিসি পার্কে নিরাপত্তায় থাকা আনসাররা প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। এ সময় বহিরাগতরা এসে পার্কে ঢুকে ভাঙচুর চালায়।
চট্টগ্রাম জেলা প্রাইম মুভার ট্রেইলার শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের জানান, এ ঘটনায় ৬০-৭০ জন লরিচালক ও সহকারী আহত হয়েছে। বর্তমানে সবাই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল বন্দর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রাইম মুভার লরি সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের বলেন, রাস্তায় গাড়ি দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে পার্কে থাকা লোকেরা চালকদের ওপর হামলা চালায়। এতে ৬০ থেকে ৭০ জনের বেশি চালক আহত হয়েছে। তারা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বন্দর হাসপাতাল ও আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ডিসি পার্কের সামনে পার্কিংয়ে থাকা দায়িত্বরত লোকেরা এই হামলা চালিয়েছে। সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেএম রফিকুল ইসলাম দাবি করেন, ডিসি পার্ক সংলগ্ন রাস্তায় ট্রাক-লরির ড্রাইভার ও শ্রমিকদের দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয় এবং সহিংসতায় রূপ নেয়।
ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. সোহেল জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে ঘটনার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে পুলিশ তথ্য সংগ্রহে কাজ করছে।
সীতাকুণ্ড উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ডিসি পার্ক সংলগ্ন রাস্তায় ট্রাক-লরির ড্রাইভার ও শ্রমিকদের দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয় এবং সহিংসতায় রূপ নেয়। সহিংসতা পার্শ্ববর্তী ডিসি পার্কে ছড়িয়ে পড়ে। পরে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটরা সেখানে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। জড়িতদের শনাক্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন