চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (সিঅ্যান্ডএফ) নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহকালে সমমনা পরিষদদের সদস্যদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ফরম নিতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হয়েছেন একাধিক সিঅ্যান্ডএফ মালিক। কাউকে মারধর করে বের করে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও সমমনা পরিষদের সমন্বয়ক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু। নগরীর ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ সিঅ্যান্ডএফ টাওয়ারে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু বলেন, চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন ৫০ বছরের পুরোনো একটি প্রতিষ্ঠান। যার কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় শতভাগ গণতন্ত্রের ব্যবহার সারা বাংলাদেশে প্রশংসিত। কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচনের ঐতিহ্যকে ভুলুণ্ঠিত করে গত ২৭, ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি ‘বৃহত্তর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ঐক্য পরিষদ’ নামধারী সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ‘সমমনা পরিষদ’ এর কোনো সদস্যকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে দেয়নি। এর মাধ্যমে পেশিশক্তি প্রদর্শনের এক ন্যাক্কারজনক অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। সিঅ্যান্ডএফ টাওয়ারের সব সিসিটিভি ক্যামেরায় কালো টেপ লাগিয়ে তাদের অবৈধ কর্মকাণ্ডের সব প্রমাণ তারা ঢাকতে চেয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, গত ২৭ জানুযারি অনুরূপ ঘটনার পর নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তারা ২৯ জানুয়ারি ও ৩০ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র সংগ্রহের জন্য সময় পুন:নির্ধারণ করে। কিন্তু এই পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন আজও হয়নি। সমমনা পরিষদ নির্বাচনমুখী, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বিশ্বাসী একটি সংগঠন। যার নেতৃবৃন্দ প্রায় ২ হাজার ৮০০ নিবন্ধিত সদস্যের ভোটে ও আস্থায় পুনঃবিজয়ী।
আইনশৃঙ্খল বাহিনীর আচরণে ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত মন্তব্য করে সমমনা পরিষদের সমন্বয়ক কাজী মাহমুদ ইমাম বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নির্বাচন কমিশনের অস্বাভাবিক নীরবতায় এই ধরনের ঘটনা নির্বিঘ্নে ঘটতে দেওয়ায় সাধারণ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট তথা ব্যবসায়ী সমাজ আজ আতংকিত। সদস্যদের ভোটাধিকার ক্ষুণ্ণ করার এই ধারাকে ব্যবসায়ী সমাজের জন্য অশনিসংকেত এবং এটি সদস্যদের জীবন জীবিকা পেশাগত মর্যাদার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
এ সময় বক্তারা বলেন, পেশিশক্তি প্রদর্শনীর স্বৈরাচারী অবস্থার অবসান ঘটিয়ে অবিলম্বে নির্বাচনের পরিবেশ সুনিশ্চিত করার জন্য পরিচালক ও রেজিস্ট্রার অব ট্রেড ইউনিয়ন, শ্রম অধিদপ্তর ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি দাবি জানাচ্ছি। সমমনা পরিষদের সদস্যদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা ও শান্তিপূর্ণ, নিরুপদ্রব, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ, প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করছি। একতরফা নির্বাচনের এই প্রহসনকে প্রত্যাখান করে পুনঃনির্বাচনী তফসিল অবিলম্বে ঘোষণার দাবি জানাই।
মন্তব্য করুন