কথা ছিল চলতি সপ্তাহে নিলামে উঠবে বিদেশ থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা সাবেক এমপিদের ৩০ গাড়ি। কিন্তু চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের শুল্কায়ন শাখা থেকে দর নির্ধারণের কাজ শেষ না হওয়ায় এবারের নিলামে ওঠেনি গাড়িগুলো। এ নিয়ে হতাশ ব্যবসায়ীরা।
তারা বলছেন, এই গাড়িতে মানুষের আগ্রহ থাকলেও কাস্টমস নিলাম কাজ করছে ধীরগতিতে। সাবেক এমপিদের ৩০ গাড়ি এবার নিলামে না উঠলেও ৮৩ লটে কয়লা, পেপার, ব্যাগসহ পোশাকশিল্পে ব্যবহৃত নানা উপকরণ নিলামে তুলেছে সংস্থাটি।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত পণ্য দেখে দর হাঁকতে বলা হয়েছে নিলামে আগ্রহীদের। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টা পর্যন্ত এ নিলামের প্রস্তাবিত মূল্য জমা দিতে পারবেন তারা।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের নিলাম ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. এয়াকুব চৌধুরী বলেন, ব্যবসায়ীরা সবাই গাড়ির নিলামের জন্য অপেক্ষা করছিল। নৌ-পরিবহন উপদেষ্টার নির্দেশনা ছিল ৩০ জানুয়ারির মধ্যে গাড়িগুলো নিলামে তোলার। সেটাতো তারা করতে পারেনি। এখন হয়তো উপদেষ্টার কথা মানতে ৩০ জানুয়ারিতে হয়তো ক্যাটালগ প্রকাশ করবে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের মুখপাত্র ও উপকমিশনার মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, সাবেক এমপিদের গাড়ির একটি নিলাম তোলার কথা ছিল। ওটার সবধরনের কাজ শেষ। শুল্কায়ন শাখা থেকে দর নির্ধারণ করার পরে তোলা হবে। এটি আশা করছি আগামী মাসেই তোলা যাবে।
তিনি আরও বলেন, অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনেও আমরা নিলাম করে চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরে থাকা কন্টেইনারগুলো দ্রুত সময়ে খালি করার চেষ্টা করছি। অফলাইনে আমরা বিশেষ করে পচনশীল পণ্যের নিলাম করছি। গত দুইদিন আগেও খেজুরের নিলাম হয়েছে। সামনের ই-অকশনে উল্লেখযোগ্যভাবে পোশাকশিল্পের বিভিন্ন উপকরণ তোলা হয়েছে।
দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় নিলামে তোলার কারণ জানতে চাইলে কাস্টম মুখপাত্র বলেন, কিছু পণ্যের লটের ক্ষেত্রে বিডাররা টাকা জমা করতে দেরি করেন। একপর্যায়ে আইনানুযায়ী সময়ে তারা পণ্য নিতে না পারলে সেগুলো নিলামে উঠে যায়। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে সংরক্ষিত মূল্যের ৬০ শতাংশ দর না দিলে তা আমাদের আইন মেনে তিনবার পর্যন্ত নিলামে তুলতে হয়।
মন্তব্য করুন