চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ : ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:৫২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘পাহাড় কাটা বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার’

চট্টগ্রামের থিয়েটার ইনস্টিটিউটে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন পরিবেশ উপদেষ্টা। ছবি : কালবেলা
চট্টগ্রামের থিয়েটার ইনস্টিটিউটে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন পরিবেশ উপদেষ্টা। ছবি : কালবেলা

পাহাড় কাটা বন্ধে তালিকা তৈরি করে তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, পাহাড় সৃষ্টির জাদু না থাকলে পাহাড় কাটতে দেওয়া হবে না। রাতে পাহাড় কাটা হয়। তাই রাতে পাহাড় পাহারা দিতে হবে। এটা সবার দায়িত্ব। এটা সরকারের আইন। পাহাড় কাটা বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের থিয়েটার ইনস্টিটিউটে পলিথিনবিরোধী এবং পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, আপনি গাছ কাটলে গাছ লাগাতে পারবেন। কিন্তু পাহাড় কেটে পাহাড় সৃষ্টি করতে পারবেন না। পাহাড় কাটতে দেওয়া যাবে না। এটি বন্ধ করতে জনগণ ও সরকারি কর্মকর্তাদের একযোগে কাজ করতে হবে।

পলিথিন উৎপাদন বন্ধে কারখানাগুলোর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, পলিথিন কারখানা বন্ধ করা হবে। পলিথিন কারখানার শ্রমিকরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ করে ক্যানসারসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কারখানা মালিকদেরই শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। পরিবেশ ধ্বংসকারী একটি পণ্যের জন্য জনগণ বা সরকার কেন দায় নেবে।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ২০০২ সালে পলিথিন নিষিদ্ধ করা হয়েছিল কিন্তু ২০২৫ সালে এসেও তা পুরোপুরি কার্যকর হয়নি। যদি জনগণ তাদের আচরণ পরিবর্তন না করে, তবে সরকার একা এই যুদ্ধ জিততে পারবে না। পলিথিন-প্লাস্টিকের ব্যবহারের মাধ্যমে মাইক্রোপ্লাস্টিক মানুষের খাবার এবং পানিতে প্রবেশ করে, যা ক্যানসারসহ গুরুতর রোগ সৃষ্টি করছে। প্লাস্টিকের এই মাইক্রোপার্টিকেলগুলো শরীরে বিষক্রিয়া তৈরি করছে, যা আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করছে। একজন মা কিংবা বাবা হিসেবে এ ধরনের বিষাক্ত অভ্যাস বন্ধ করা জরুরি।

তিনি বলেন, পলিথিনের বিকল্প সবসময়ই ছিল কিন্তু সেগুলো ব্যবহার করতে আমাদের অভ্যাসগত অনীহা রয়েছে। আপনার দাদা বা বাবা বাজারে গেলে চটের ব্যাগ নিয়ে যেতেন। কিন্তু এখন গাজরের জন্য এক ব্যাগ, মরিচের জন্য আরেক ব্যাগ- এভাবেই পলিথিনের ওপর নির্ভরতা বেড়ে গেছে। এটা শুধু আমাদের পরিবেশ নয়, আমাদের সংস্কৃতিকেও দূষিত করছে। পলিথিনের বিকল্প হিসেবে চট, পাট, কাপড় এবং কাগজের ব্যাগ ব্যবহারের আহ্বান জানান তিনি।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, প্রত্যেককে নিজ নিজ জায়গা থেকে দায়িত্ব নিতে হবে। পলিথিন ব্যবহার বন্ধের পাশাপাশি শব্দদূষণ ও পরিবেশদূষণ প্রতিরোধে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। আপনার আচরণই এই পরিবর্তনের মূল চাবিকাঠি। পলিথিনের মতো ক্ষতিকর পণ্যের ব্যবহার বন্ধে প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব রয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সাভারে বেতার কেন্দ্রের টেন্ডারবক্স ভাঙচুরের অভিযোগ বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে

আলোচিত ফটোসেশনের বাছুর পেলেন ১০ নারী

রোমাঞ্চকর ম্যাচে তীরে এসে তরী ডুবল রাজশাহীর

সভাপতি পদে পরিবর্তনসহ ডাকসু গঠনতন্ত্র সংস্কারে ১৮ প্রস্তাব ছাত্র ফেডারেশনের

ছেলের জন্য চাকরি ছাড়েন দেশসেরা সুশোভনের মা

ড. ইউনূস সরকারের সমালোচনা করা রিপোর্ট প্রত্যাহার ব্রিটিশ এমপিদের

জসীমের বিচারের দাবিতে কক্সবাজারে বিক্ষোভ মিছিল

ব্যাংকারদের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা

গোপালগঞ্জে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩০

ইসরায়েলি সেনাদের কাছে তিন জিম্মিকে হস্তান্তর

১০

যুবদল নেতাকে কুপিয়ে জখম, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা বহিষ্কার

১১

মেসির ছেলেরা কি যুক্তরাষ্ট্রের জার্সিতে খেলবেন?

১২

ঢাকায় বিশ্বমানের হাসপাতাল করতে চায় চীন

১৩

‘সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার না করে নিরপরাধ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীকে গ্রেপ্তার অন্যায়’

১৪

সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটিতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে আলোচনা

১৫

পার্কে গিয়ে ধরা, ৮ জনের বিয়ে

১৬

মুক্তিপণ দিয়েও বাবা-মা পেলেন ছেলের ‘মরদেহ’

১৭

শেখ হাসিনার আমলে বগুড়ায় উন্নয়নের ছোঁয়া পড়েনি : গিয়াস আহমেদ

১৮

কৃত্রিম সূর্য তৈরিতে আরেক ধাপ এগোলো চীন

১৯

আটক বিডিআর সদস্যদের মুক্তিসহ ৬ দফা দাবি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের

২০
X