জুলাই-আগস্ট মাসের সম্মান রক্ষার্থে ওই মাসের মধ্যেই নির্বাচন দেওয়ার কথা জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, এ দেশে গত জুলাই-আগস্ট মাসে সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে। সুতরাং জুলাই-আগস্ট মাসের সম্মান রক্ষার্থে আগামী জুলাই-আগস্ট মাসের মধ্যেই আপনারা নির্বাচন দেবেন বলে আমি আশা করি।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রামের ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে চট্টগ্রাম নগর বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন।
দেশের বর্তমান অবস্থার কথা তুলে ধরে সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, এখন বাজারের সরবরাহ ব্যবস্থা ঠিক নেই, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক নেই। অনির্বাচিত সরকার কতদিন থাকবে সেটার ঠিক নেই এবং আপনারা কবে রোডম্যাপ দিবেন তারও কোনো নির্দেশনা নেই। এত সালের শেষে অত সালের প্রথমে নির্বাচন হতে পারে। সেটাতে আমরা সন্তুষ্ট না, এ দেশের জনগণ সন্তুষ্ট না।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে, ভোটার তালিকাসহ অন্যান্য কাজ চলমান। অন্যান্য আইনি সংস্কার শুধু কাগজি ব্যাপার। অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের সময় বেশি লাগার কথা নয়। অন্যান্য মাঠের সংস্কারের বিষয়টি আইনের ওপর নির্ভরশীল। আমরা খুব হিসাব-নিকাশ করে বলেছি, বেশি হলে আগামী জুলাই-আগস্ট লাগতে পারে একটি অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য। এ দেশে জুন মাসে নির্বাচন হওয়ার ইতিহাস আছে।
তিনি আরও বলেন, কোনো একটি মহলকে রাজনৈতিক দল গঠন করার সুযোগ দেওয়ার জন্য এবং তাদের অবৈধভাবে সরকারি সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা থাকা উচিত হবে না। আপনারা কাউকে প্রতিপক্ষ করবেন না, আমরা সবাই জনগণের পক্ষ। আমরা কারো প্রতিপক্ষ হতে চাই না।
নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ মিয়া ভোলার সভাপতিত্বে এতে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির (চট্টগ্রাম বিভাগ) সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবে রহমান শামীম, বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির (চট্টগ্রাম বিভাগ) সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল।
মাহাবুবে রহমান শামীম বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন বলে আমরা বাংলাদেশ নামের একটি দেশ পেয়েছি। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান গণতন্ত্র এনেছেন। এ দেশে বারবার গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ।
মীর হেলাল বলেন, বাংলাদেশ যে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে আছে সেটি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অবদান। প্রথমত কৃষিতে এক জমিনে বারবার ফসল ফলানোর পদ্ধতি চালু। দ্বিতীয়ত, শ্রমিক রপ্তানি। তৃতীয় আরএমডি সেক্টরে এখন পর্যন্ত দেশ যে সুফল ভোগ করছে সেটি তার অবদান। দেশ যতবার সংকটে পড়েছে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রাহমানের পরিবারের মাধ্যমে সে সংকট থেকে উত্তরণ হয়েছে।
মন্তব্য করুন