চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এক কর্মচারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার নাম উসমান সিকদার। তিনি বিমানবন্দরের সিভিল অ্যাভিয়েশনের অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিমানবন্দরসংলগ্ন লিংক রোড থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
জানা যায়, উসমানের বাড়ি হাটহাজারীর মেখল ইউনিয়নে। সেখানে তার পরিবার থাকলেও ওসমান বিমানবন্দর এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।
পরিবারের অভিযোগ, উসমানকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে ‘হত্যা’ করা হয়েছে।
পতেঙ্গা থানা পুলিশ জানায়, সকালে বিমানবন্দরসংলগ্ন লিংক রোডে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে।
উসমান সিকদারের ভাই এমরান সিকদার জানান, পূর্ব বিরোধের জেরে তার ভাইকে খুন করা হয়েছে। মাথায় লাঠির আঘাত রয়েছে। এ ছাড়া পুরো শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবি করেন তিনি।
এমরান সিকদার আরও জানান, তাদের প্রতিবেশী এক যুবকও গত রাতে ওসমানের বাসায় ছিলেন। রাত আড়াইটা থেকে ৩টার দিকে সাত থেকে আটজন লোক এসে ওসমান আর ওই প্রতিবেশীকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায়। দুজনকে বাসা থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় ওসমানকে মারধর করতে করতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সাথে থাকা ছেলেটিকেও মারধর করা হয়েছিল। পরে ওই প্রতিবেশীকে তারা ছেড়ে দেয় বলে জানায় এমরান।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার কাজী মো. তারেক আজিজ কালবেলাকে বলেন, বিমানবন্দরসংলগ্ন লিংক রোডে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে। লাশের মাথায় জখমের চিহ্ন ছিল। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের পর ওসমানের মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
মন্তব্য করুন