বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চট্টগ্রাম মহানগরীর আওতাধীন সব থানা ও ওয়ার্ড কমিটি এক সপ্তাহের মধ্যে ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। এরপর সম্মেলনের মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে ওয়ার্ড ও থানা কমিটি পুনর্গঠন করা হবে।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত মহানগর বিএনপির নব গঠিত আহ্বায়ক কমিটির প্রথম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নগরীর পিটস্টপ রেস্টুরেন্টের হলরুমে অনুষ্ঠিত সভায় ৫৩ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির ৫১ জন উপস্থিত ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান।
তিনি বলেন, মূলত নগরীর সবগুলো থানা ও ওয়ার্ড কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ। তাই কমিটি পুনর্গঠনের লক্ষ্যে আজকের সভায় সবগুলো কমিটি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে কোন প্রক্রিয়ায় কমিটি পুনর্গঠন করা হবে তা পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব নাজিমুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, ব্যারিস্টার মীর মো. হেলাল উদ্দিন ও সাবেক বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, নির্বাচন উপযোগী প্রয়োজনীয় সংস্কার সাধনের মাধ্যমে দ্রুত একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করা এবং দেশে সার্বিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বিএনপি সর্বদাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পাশে থাকবে। দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীলতা আনয়নে ও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রাখা এবং জনকল্যাণের লক্ষ্যে জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকারের বিকল্প নেই।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৬ আগস্ট ডা. শাহাদাত হোসেন ও আবুল হাশেম বক্করের নেতৃত্বে গঠন করা হয়েছিল চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কমিটি। পরবর্তীতে বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড কমিটি পুনর্গঠন করা হয়। পরবর্তীতে দুই দফা নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি পরিবর্তন হলেও থানা ও ওয়ার্ড কমিটিগুলোতে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
মন্তব্য করুন