চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ : ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৫৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

চট্টগ্রামে চিন্ময় ব্রহ্মচারীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা

চিন্ময় কৃঞ্চ দাশ ব্রহ্মচারী। ছবি : সংগৃহীত
চিন্ময় কৃঞ্চ দাশ ব্রহ্মচারী। ছবি : সংগৃহীত

জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগে বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃঞ্চ দাশ ব্রহ্মচারীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয়েছে।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) মধ্যরাতে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেন ফিরোজ খান নামের এক ব্যক্তি। তিনি চান্দগাঁও মোহরা এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। মামলাটি বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) নথিভুক্ত করা হয়।

মামলায় আসামির তালিকায় দুই নম্বরে আছেন হিন্দু জাগরণ মঞ্চ চট্টগ্রামের সমন্বয়ক অজয় দত্ত। তিন নম্বরে রয়েছেন ইসকন প্রবর্তকের অধ্যক্ষ লীলা রাজ ব্রহ্মচারী।

এ ছাড়াও অন্য আসামিরা হলেন—গোপাল দাশ টিপু, ডা. কথক দাশ, প্রকৌশলী অমিত ধর, রনি দাশ, রাজীব দাশ, কৃঞ্চ কুমার দত্ত, জিকু চৌধুরী, নিউটন দে ববি, তুষার চক্রবর্তী রাজীব, মিথুন দে, রুপন ধর, রিমন দত্ত, সুকান্ত দাশ, বিশ্বজিৎ গুপ্ত, রাজেশ চৌধুরী ও হৃদয় দাস। এ ছাড়া আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে এতে অজ্ঞাত আসামি দেখানো হয়।

এদিকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়েরের অন্তত ৬ ঘণ্টা আগেই গ্রেপ্তার হন আসামির তালিকায় থাকা রাজেশ চৌধুরী ও হৃদয় দাশ নামে দুই যুবককে।

বুধবার সন্ধ্যায় এই দুজনকে নগরের সদরঘাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার কাজী মো. তারেক আজিজ।

এ মামলার খবরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সনাতনী সম্প্রদায়ের ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় উঠেছে।

এক ভিডিও বার্তায় এ মামলাকে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করতে দুষ্ট মহলের এমন প্রয়াস বলে মন্তব্য করে বুধবার গভীর রাতে ফেসবুক লাইভে এসে নিজের গ্রেপ্তারের শঙ্কা প্রকাশ করেন চিন্ময় কৃঞ্চ দাশ ব্রহ্মচারী। এ সময় তিনি বাংলাদেশে সকলের সহবস্থান রক্ষায়, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায়, সনাতনীদের ৮ দফার দাবির আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে সনাতনী সমাজের প্রতি আহ্বানও জানান।

মামলার বিবরণে বলা হয়, ২৫ অক্টোবর বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের উদ্যোগে লালদিঘির মাঠে একটি মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এদিন বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে চন্দন কুমার ধরসহ ৯ জন আসামির ইন্ধনে বাকি আসামিরা চট্টগ্রামের নিউমার্কেট জিরো পয়েন্ট স্তম্ভ ও আশপাশে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ওপর ধর্মীয় গোষ্ঠী ইসকনের গেরুয়া রঙের ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন করে সেখানে স্থাপন করে দেয়।

এ ঘটনায় আসামিরা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাজনৈতিক-আমলাতান্ত্রিক প্রভাবমুক্ত দুর্নীতি দমন কমিশন গঠনের আহ্বান

ঢাবি মুজিব হলের ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান গ্রেপ্তার

নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের মিছিল করায় ৫ নেতাকর্মী রিমান্ডে

সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহিদুজ্জমান ৪ দিনের রিমান্ডে

টঙ্গীতে বিএনপি নেতা নূরুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ

যাত্রীদের থেকে বাড়তি ভাড়া আদায়, বরখাস্ত দুই রেল কর্মচারী

অভিনেতা মাসুদ আলী খান আর নেই

গাজীপুর মহানগর মোটর শ্রমিক লীগের সভাপতি গ্রেপ্তার

তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ জাপান বিএনপি

১৭ বছরের শহীদ খালিদের শরীরে বুলেটের ৭০টি ছিদ্র

১০

লেবানন থেকে ছোড়া রকেটে ইসরায়েলে নিহত ৫

১১

বিডিইউ উপাচার্যের সঙ্গে জাইকা প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ

১২

আরও রোহিঙ্গা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা 

১৩

সাফজয়ী সাবিনা-ঋতুপর্ণাদের জন্য পুরস্কারের ঘোষণা বিসিবির

১৪

‘নির্বাচনে যেতে ১২ কোটি টাকার প্রস্তাব দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা’

১৫

দুর্যোগ মোকাবিলার গবেষণায় সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন : ঢাবি উপাচার্য

১৬

ঢাকা সফরে আসছেন মার্কিন কর্মকর্তারা

১৭

প্রিমিয়ার ব্যাংকের ৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল

১৮

প্রোটিয়াদের কাছে লজ্জার হারে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

১৯

সোহাগের নতুন গান

২০
X