কুমিল্লার লাকসামে একদিনে পৃথক স্থানে দুটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। নিহতরা হলেন, শহীদ উল্লাহ সরু ও মো. মোখলেসুর রহমান।
রোববার (২৭ অক্টোবর) এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, রোববার সকাল দশটায় উপজেলার কান্দিরপাড় ইউনিয়নের আমুদা গ্রামে প্রতিবেশীর ঘুষিতে শহীদ উল্লাহ সরু (৬৫) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হন। নিহত সরু ওই গ্রামের আলী মিয়া দরবেশের পুরান বাড়ির মৃত ছৈয়দ আহমদের ছেলে।
নিহতের ভাতিজা আমানুল্লাহ জানান, সকাল দশটার দিকে পাশের বাড়ির শহিদুল্লাহ ড্রাইভার আমাদের জায়গা থেকে মাটি কেটে তাদের বাড়ির রাস্তায় ফেলছিল। এ সময় আমি বাধা দিলে তারা আমার দিকে তেড়ে আসে। পরে সরু চাচাকে খবর দিলে চাচিসহ তারা ঘটনাস্থলে এলে শহিদুল ড্রাইভার (৫৩) ও তার ছেলে তাজুল ইসলামসহ (২৯) ১০/১২ জন নারী-পুরুষ চাচিকে ধাক্কা দেয় এবং সরু চাচাকে পেটাতে থাকে। একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে সরু চাচা ঢলে পড়েন। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে লাকসাম সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম ড্রাইভার বলেন, এটা আমাদের পৈতৃক জায়গা। বন্যায় বাড়ির রাস্তা গর্ত হয়ে মাটি সরে ওই জায়গায় জমা হয়। আমরা সামান্য মাটি কেটে রাস্তায় ফেলেছি। এ নিয়ে তারা বাধা দিলে সামান্য কথা কাটাকাটি এবং হাতাহাতি হয়। সরু হার্টের রোগী ছিলেন। হার্ট অ্যাটাক করেই তার মৃত্যু হতে পারে। আমরা তাকে মারধর করিনি।
এদিকে একইদিন রাত ১১টায় লাকসাম পৌরসভার মিশ্রী গ্রামে হকার সুজন (৩০) ও মোখলেছুর রহমানের (৫৮) মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সুজন তাকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। তাৎক্ষণিক মোখলেসুর রহমানকে লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জানা গেছে, নিহত মোখলেসুর রহমানের বাড়ি সিলেটে। তিনি ওই গ্রামের বিডিআর মানিকের বাসায় ভাড়া থাকতেন।
অভিযুক্ত সুজন পলাতক থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
লাকসাম থানার ওসি নাজনীন সুলতানা জানান, রাতে মিশ্রী গ্রামে মোখলেসুর রহমান নিহতের ঘটনায় জড়িতকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। সকালে আমুদা গ্রামে বৃদ্ধ নিহতের ঘটনায় ৮ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। মামলার আসামি তাজুল ইসলাম ও তার পিতা শহিদুল ইসলাম ড্রাইভারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দুটি সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।
মন্তব্য করুন