চট্টগ্রাম-১০ আসনের বিএনপি নেতা মামুন আলী ওরফে কিং আলী গ্রেপ্তার হয়েছে।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) কাজী মো. তারেক আজিজ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, পাহাড়তলীর মোহাম্মদ ট্রেডিং নামে এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ‘ফিল্মি স্টাইলে’ চাঁদাবাজির অভিযোগে কিং আলী এবং তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে পাহাড়তলী থানায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাদের বিরুদ্ধে দখলচেষ্টা, মালামাল লুট, ভাঙচুর ও চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে পাহাড়তলী থানায় মামলাটি করেন মোহাম্মদ ট্রেডিংয়ের ম্যানেজার আরিফ মঈনুদ্দীন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালে আতাহার ইশরাক সাবাব নামে একজনের কাছ থেকে চুক্তিপত্র অনুযায়ী জায়গা ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করে আসছে মোহাম্মদ ট্রেডিং। মূলত তাদের পাথরের ব্যবসা। গত ১৬ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কিং আলীর ভাই লোকমান আলী তাদের প্রতিষ্ঠানে গিয়ে উচ্ছেদ এবং মালামাল লুটের হুমকি দেয়। পরদিন দুপুর ১২টার দিকে বিএনপি নেতা কিং আলীর নেতৃত্বে অন্তত ২০০ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে। এরপর গালাগালি এবং একপর্যায়ে মারধর শুরু করে কর্মচারীদের। এতে কয়েকজন আহত হন।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গ্রেপ্তার কিং আলী হালিশহর থানার গলিচিপা পাড়ার হাজী আশরাফ আলীর ছেলে। প্রথমে এক ভাই গিয়ে হুমকি দিয়ে আসে প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করে মালামাল লুটের। পরেরদিন আরেক ভাই অস্ত্র-লাঠিসহ ‘গুন্ডা বাহিনীর’ অন্তত দুই শতাধিক সদস্য নিয়ে জড়ো হয় সেই প্রতিষ্ঠানে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভয় দেখিয়ে দাবি করে কোটি টাকার চাঁদা। সেই সঙ্গে ‘জোর যার মুল্লুক তার’ বলেই শুরু করে মারধর। এরপর লুটপাট করে বিভিন্ন মূল্যবান মালামাল।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, মোহাম্মদ ট্রেডিং নামে একটি প্রতিষ্ঠানে হামলা, লুটপাট এবং চাঁদা দাবির অভিযোগে দুজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে গিয়ে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায় এবং মূল অভিযুক্ত মামুন আলী প্রকাশ কিং আলী সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তখন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিং আলী গ্রেপ্তার এড়াতে অন্তত দেড়শ ছেলে নিয়ে আসে ঘটনাস্থলে। সে তখন শোডাউন দেওয়ায়। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন