চাকরি পুনর্বহালের দাবিতে চট্টগ্রামে মানববন্ধন করেছেন প্রায় ৪০ জন ভিক্ষুক। তাদের দাবি পুনর্বাসনের আশ্বাসে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সেবক পদে ২০১১ সালে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু প্রায় ১০ বছর ২০২১ সালে কৌশলে তাদের ছাঁটাই করে দেন চসিকের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। এখন চাকরি পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) চসিকের প্রধান কার্যালয়ে টাইগারপাস এলাকায় মানববন্ধন করেন তারা। এ সময় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের কাছে স্মারকলিপি তুলে দেন আন্দোলকারীরা।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ভারত, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ২০১১ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপের আয়োজক ছিল বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো আয়োজক হওয়ার সুযোগে ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় ম্যাচ। খেলা চলাকালে চট্টগ্রাম শহরকে ভিক্ষুকমুক্ত রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নেন চসিকের তৎকালীন মেয়র মনজুর আলম। ভিআইপি মোড় থেকে ভিক্ষুক সরাতে পুনর্বাসনের আওতায় নিয়োগ দেওয়া হয় ৪০ জন প্রতিবন্ধী ভিক্ষুককে। তবে ২০২১ সালে চসিকের উপপ্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী নিজের পছন্দের লোকজন নিয়োগ দিতে তাদের ছাঁটাইয়ের পরামর্শ দেন। তার পরামর্শ অনুসারে তৎকালীন চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন নিয়োগপ্রাপ্ত ভিক্ষুকদের বেতন-ভাতা বন্ধ করে দেয়।
চসিকের প্রতিবন্ধী পরিচ্ছন্নকর্মী মোহাম্মদ কালাম হোসেন কালবেলাকে বলেন, চসিকের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলমের নির্দেশক্রমে মোরশেদ আলম আমাদের বেতন বন্ধ করে দেন। পরে পুনর্বহালে দাবি নিয়ে সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলমের কাছে গিয়েছিলাম। কিন্তু চসিকের সিকিউরিটি ফোর্সরা অনেকটা গলাধাক্কা দিয়ে আমাদের বের করে দেয়।
উপপ্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, কাউকে নিয়োগ দেওয়া কিংবা ছাঁটাই করাসহ বেতন বন্ধ রাখার দায়িত্ব আমাদের নয়। তৎকালীন প্রশাসক আইনি এবং অফিসিয়ালভাবেই ব্যবস্থা নিয়েছেন।
মন্তব্য করুন