চট্টগ্রামের আনোয়ারায় হাতির হামলায় দুজনের প্রাণ গেল। এ ঘটনায় একজন আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন, রেহেনা আক্তার (৪৮) ও আবুল কাশেম দুলাল (৫৫)। আহত হয়েছেন মারজানা আক্তার (২৮)।
সোমবার রাত সাড়ে ৯টা ও মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ভোরে উপজেলার বৈরাগ ও গুয়াপঞ্চক আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আবুল কাশেম উত্তর গুয়াপঞ্চক এলাকার শাহ্ আহমদ বাড়ির মৃত মুজিবুর রহমানের ছেলে এবং রেহেনা আক্তার বৈরাগ খোসাল তালুকদারের বাড়ির আক্তার উদ্দিনের স্ত্রী। আহত মারজানা আক্তার স্থানীয় গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী।
নিহত রেহেনা আক্তারের দেবর নাজিম উদ্দিন বলেন, রাত ১টার দিকে বাড়ির সামনে ও পেছনে পাহাড় থেকে নেমে দুটি হাতি আসলে লোকজন দৌড়াদৌড়ি শুরু করে। এ সময় একটি হাতি আমাদের ঘরের সামনে চলে আসে। অন্ধকারে কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমার দুই ভাবি রেহেনা আক্তার ও মারজানা আক্তারের ওপর হামলা করলে ঘটনাস্থলে রেহেনা আক্তার মারা যান। এ সময় মারজানা আক্তারকে উদ্ধার করে আমরা হাসপাতালে নিয়ে যায়।
নিহত বৃদ্ধ আবুল কাশেমের স্ত্রী রওশন আরা বেগম (৪৫) বলেন, হাতি আসার খবর শুনে আমার স্বামী ঘরে থেকে বের হওয়া মাত্রই উঠানে অবস্থান করা হাতিটি শুঁড় দিয়ে তুলে আছাড় মারে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার করে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় বৈরাগ ইউপি চেয়ারম্যান মো. নোয়াব আলী বলেন, হাতির হামলায় এ পর্যন্ত শুধু বৈরাগ ইউনিয়নে ৮ জন লোক মারা গেছে, আগে রাতে আসলেও এখন দিনের বেলাও লোকালয়ে ঢুকে ঘরবাড়ি ভাঙচুর, ফসলি জমি নষ্ট করছে। আমরা প্রশাসন ও বন বিভাগকে বারবার বললেও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। শুধু ক্ষতিপূরণ দিয়ে দায় সারছেন প্রশাসন।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ রেঞ্জের বন বিভাগ কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখ বলেন, খাবারের সন্ধানে হাতির পালটি লোকালয়ে চলে আসে এবং বাড়িঘরে হামলা করে। আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক ইমন জানান, পাহাড়ে বন উজাড় ও খাবার সংকটের কারণে হাতির দলটি লোকালয়ে নেমে আসে। এ বিষয়ে স্থানীয়দের সতর্ক থাকতে হবে। হতাহতের বিষয়টি বন বিভাগকে জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন